,

হবিগঞ্জ বাংলা সাহিত্য সম্মেলন অনুষ্ঠিত মুক্ত সংস্কৃতির চর্চাই পারে সমাজের সব ধরণের কলুষতা দূর করতে- এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ-বাহুবল আসনের সংসদ সদস্য এমপি এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু বলেন- ‘মুক্ত সংস্কৃতি চর্চাই পারে সমাজের কলুষতা দূর করতে। ‘হবিগঞ্জ বাংলা সাহিত্য সম্মেলন ২০১৫’ হবিগঞ্জের কবি-সাহিত্যিকদের জীবনে একটি স্মরণীয় দিন। যে দিনে কবি- সাহিত্যিকদের সাথে শরীক হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। এ সম্মেলনের মাধ্যমে অত্র এলাকার সাহিত্য চর্চায় উৎকর্ষ সাধন হবে বলে আমি মনে করি। প্রজ্জ্বলনের আলো সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে তা বিশ্বাস করি।’ গত ১৬ অক্টোবর ২০১৫ শুক্রবার সকাল ১০ ঘটিকায় নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে কবি সংসদ বাংলাদেশ হবিগঞ্জ জেলা শাখা কর্তৃক আয়োজিত ‘হবিগঞ্জ বাংলা সাহিত্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। সংসদের হবিগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি কবি পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী’র সভাপতিত্বে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করে বাংলা একাডেমির উপ-পরিচালক ড. তপন বাগচী বলেন- ‘নিউক্লিয়াস যেমন জীবকোষের প্রাণ তেমনি স্ব স্ব দেশের ভাষার ও সাহিত্যের প্রাণ হচ্ছেন কবি-সাহিত্যিকরা। তাঁদের লেখনীর মাধ্যমেই একটি জাতি সভ্য হয়ে ওঠে আর পৃথিবী শিল্প-সাহিত্য ও সভ্যতার আলোয় হয় আলোকিত।’ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহবায়ক ইব্রাহীম ইউসুফ’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ পৌরসভার মেয়র অধ্যাপক তোফাজ্জল ইসলাম চৌধুরী, বাংলাদেশ পল্লীবিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালক (অর্থ) কবি চন্দনকৃষ্ণ পাল, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নবীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব সাইফুল জাহান চৌধুরী, আনন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শিশু-সাহিত্যিক স. ম. শামসুল আলম, চিত্রশিল্পী গোলাম নবী পান্না, আমাদের মাতৃভূমি সম্পাদক নজরুল ইসলাম নঈম, সঙ্গীত শিক্ষক ভূপিকা রঞ্জন দাশ, গীতিকার মোঃ আব্দুস সালাম, কবি কোকিল দাশ, গীতিকার আলী আমজাদ মিলন প্রমূখ। অনুষ্টানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করেন সম্মেলন উদযাপন কমিটির আহবায়ক মোঃ গোলাম কিবরিয়া। অনুষ্টানের প্রধান অতিথি এমপি এম এ মুনিম চৌধুরী বাবুকে সফল জনপ্রতিনিধি হিসেবে, কবি চন্দন কৃষ্ণ পালকে ছড়া সাহিত্যে, কবি স.ম শাসসুল আলমকে শিশু সাহিত্যে, গোলাম নবী পান্নাকে চিত্রশিল্পে, নজুল ইসলাম নঈমকে সম্পাদনায়, সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে ভূপিকা রঞ্জন দাশকে, ‘কাব্যকথা সাহিত্য পুরস্কার ২০১৫’ লাভ করায় কবি কোকিল দাশ ও গীতিকার মোঃ আব্দুস সালামকে ‘হবিগঞ্জ বাংলা সাহিত্য সম্মেলণ সম্মাননা ২০১৫’ প্রদান করা হয়। এছাড়া কন্ঠশিল্পী হিসাবে অবদানের জন্য পূজা বনিক ও সালমা ফারিহা প্রমিকে ‘তরুণ সাহিত্য পদক ২০১৫’ প্রদান করা হয়। সম্মেলনের শুরুতে পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তীর সম্পাদিত স্মারক সংকলন প্রজ্জ্বলন’র মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দ। সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বের প্রথম অধিবেশনের প্রধান অতিথি হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র বলেন- ‘প্রত্যেকের উপর অর্পিত দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে দেশকে এগিয়ে নেয়া সম্ভব। কোন কাজের স্বীকৃতির আশায় কাজ করা ঠিক নয়। ভাল কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখলে কাজই মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। শিক্ষায় ও শিল্প-সাহিত্যে হবিগঞ্জ জেলাকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে আরো সচেতনভাবে একযোগে কাজ করতে হবে।’ সম্মেলন উদযাপন কমিটির আহবায়ক কবি গোলাম কিবরিয়ার সভাপতিত্বে এবং তৌহিদ চৌধুরী ও সাবেকা আক্তার সুমির যৌথ পরিচালনায় এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল বাতেন খান, পৌরসভার প্যানেল মেয়র ছাবির আহমদ চৌধুরী, রেডটাইমসবিডি২৪.কম এর সম্পাদক কবি সৌমিত্র দেব, কবি সংসদ বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক, এড শরদিন্দু ভট্টাচার্য্য টুটুল প্রমূখ। এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবৃত্তি শিক্ষক ও শিল্পী কাঞ্চন বনিক, কবি এম এ ওয়াহিদ লাভলু, নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল, প্রকাশনা ও সাংস্কৃতিক কমিটির আহবায়ক মোঃ হাবিবুর রহমান চৌধুরী শামীম, হবিগঞ্জ জেলা পোয়েটস ক্লাবের সভাপতি কবি নিলুফা ইয়াসমিন নিলু, সাংবাদিক সুবিনয় রায় বাপ্পি, সাংবাদিক আশাহিদ আলী আশা ,কবি ও ছড়াকার সঞ্জয় কর, এড. জাহিদুল ইসলাম চৌধুরী রফি, গল্পকার সঞ্জয় কুমার ধাম প্রমূখ। স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন সাইফুল ইসলাম সারং, ওবায়দুর রহমান সাইদুর, মোঃ রাজু মিয়া, ঊর্মি আচার্য্য, পিনাকী আচার্য্য, পল্লব আচার্য্য, পল্লবী রায় প্রমূখ। অনুষ্টানের শুরুতে সংবর্ধিত অতিথিদের সংক্ষিপ্ত জীবনী পাঠ করেন সংসদের জেলা সভাপতি কবি পৃথ্বীশ চক্রবর্ত্তী। প্রশাসনিক কাজে অবদানের জন্য হবিগঞ্জ জেরা পুলিশ সুপার জয়দেব কুমার ভদ্র, অনলাইন সাংবাদিকতায় সৌমিত্র দেব, ছোটগল্পে এড. শরদিন্দু ভট্টাচার্য্য টুটুল, সফল সংগঠক হিসেবে তৌহিদুল ইসলাম কনক ও আনন্দ নিকেতনের আবৃত্তি বিভাগকে ‘হবিগঞ্জ বাংলা সাহিত্য সম্মেলন সম্মাননা ২০১৫’ প্রদান করা হয়। নৃত্যশিল্পী প্রবীর শীল ও তার দলকে যৌথভাবে এবং ঝলক চক্রবর্তীকে একক নৃত্যে কৃতিত্ব অর্জনের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘তরুণ সাহিত্য পদক ২০১৫’ প্রদান করা হয়। এছাড়া আবৃত্তিতে অংশগ্রহনকারী শিশু-কিশোরদের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের শিশুতোষ বই বিতরণ করা হয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.