,

নবীগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কিশোরীর সম্ভ্রমহানী নগদ টাকা, মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে লম্পট প্রেমিকের পলায়ন ॥ থানায় অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জের পল্লীতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে (১৫) ফুসলিয়ে বাড়ি থেকে সিলেটে নিয়ে দুই দিন অজ্ঞাত স্থানে রেখে ধর্ষন করেছে এক প্রতারক লম্পট। ওই কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় গতকাল রাতে নবীগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার দেবপাড়া ইউপির ভানুদেব গ্রামের আব্দুস শহিদের মাতৃহারা কন্যা রোশনা বেগম (১৫) একই ইউনিয়নের বৈঠাখাল গ্রামে তার নানা বাড়িতে ছোট ভাইকে সাথে নিয়ে বসবাস করে। কয়েক মাস আগে রোশনা বেগম পার্শ্ববর্তী মৌলভীবাজার জেলার ১নং খলিলপুর ইউপির আলাপুরে তার আরেক নানা ছায়েদ মিয়ার বাড়ি বেড়াতে যায়। এ সময় পরিচয় হয় ওই গ্রামের আব্দুল হকের পুত্র জুনেদ মিয়ার (১৯) সাথে। এতে দুজনের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। রোশনা মৌলভীবাজারের আলাপুর থেকে নানা বাড়ি চলে আসার পর জুনেদ বেশ কয়েকদিন রোশনার সাথে দেখা করতে নবীগঞ্জের বৈঠাখাল গ্রামে আসে। পূর্ব সিদ্ধান্ত মতে গত ২ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৯টায় জুনেদ মিয়া রোশনাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফুসলিয়ে নানা বাড়ি থেকে সিলেট নিয়ে যায়। সিলেট শহরের অজ্ঞাত এক কলোনীতে রোশনাকে নিয়ে উঠে। সেখানে রোশনাকে স্ত্রী দাবি করে একটি রুম ভাড়া নেয়। সিলেটে ২দিন ২রাত অবস্থানের সময় জুনেদ রোশনার ইচ্ছের বিরুদ্ধে তাকে একাধিকবার ধর্ষন করে। বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়া ধর্ষনে বাধা দিলেও জুনেদ রোশনাকে নানা ধরনের আশ্বাস ও হুমকি দেয়। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১০টায় জুনেদ রোশনাকে কাবিন করার কথা বলে নানাবাড়ির উদ্দেশ্যে রোওয়ানা দিয়ে রাত দেড়টায় নবীগঞ্জের আউশকান্দি আসে। এদিকে জুনেদ তার পরিবারের লোকদের সাথে যোগাযোগ করেই রোশনাকে ধুকা দিয়ে আউশকান্দি আসে। আউশকান্দি আসার পর রোশনা দেখতে পায় জুনেদের পিতা আব্দুল হক, বড় ভাই তরাজ মিয়া ও শিবুল মিয়া একটি সিএনজি অটো রিকশা নিয়ে অপেক্ষা করছে। রোশনা কিছু বুঝার আগেই জুনেদের পিতা ও ভাইরা রোশনা ও জুনেদকে গাড়িতে তুলে। তারা বাড়িতে নিয়ে বিয়ে পড়ানোর আশ্বাসও দেয় রোশনাকে। সিএনজি অটো রিকশা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রুস্তমপুর টোল প্লাজার প্রায় ৩শত গজ দুরে থামিয়ে জুনেদের পিতা ও ভাইরা রোশনাকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দেয়। এখানে নামিয়ে দেওয়ার কারন জনতে চাইলে রোশনাকে তারা মারধর করে রোশনার সাথে থাকা নগদ ১০ হাজার টাকা, আধা ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন ও একটি নোকিয়া মোবাইল ফোনসেট লুটে নেয়। এখান থেকে রোশনা বেগম কেঁদে কেঁদে হেটে একা নানা বাড়ি গিয়ে উঠে সবাইকে বিষয়টি অবগত করে। গতকাল (শনিবার) মধ্যরাতে রোশনাকে নিয়ে তার নানা কুবাদ মিয়া থানায় আসেন। কুবাদ মিয়া বাদি হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বলে এ প্রতিনিধিকে জানিয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.