প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রতিমন্ত্র¿ী ও জাতীয় পার্টির নেতা সৈয়দ কায়সারের ফাঁসির রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন হবিগঞ্জবাসী। দীর্ঘদিন পর হলেও রাজাকারের ফাঁসির রায় হওয়ায় তারা খুশি। হবিগঞ্জবাসী শিগগিরই এ রায় কার্যকর চান। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে আর্ন্তজাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার পরপর জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিট কমান্ডের কমান্ডার এডভোকেট মোহাম্মদ আলী পাঠান বাংলানিউজকে জানান, কুখ্যাত রাজাকার সৈয়দ কায়সারের ফাঁসির রায়ে জনগণের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে। জনগণের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। এ রায়ে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মা শান্তি পাবে। হবিগঞ্জ নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের প্রাক্তন উপাধ্য মুক্তিযোদ্ধা আব্দুজ জাহির জানান, সৈয়দ কায়সারের মতো রাজাকারের ফাঁসির রায়ে স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসীরা অত্যন্ত খুশি হয়েছেন। এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রেসিডেন্ট মোতাচ্ছিরুল ইসলাম জানান, কুখ্যাত রাজাকার সৈয়দ কায়সারের ফাঁসির রায় হওয়ায় হবিগঞ্জবাসী অত্যন্ত আনন্দিত। শিগগিরই ফাঁসির রায় কার্যকর করার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান চৌধুরী তুহিন বলেন, ১৯৭১ সালের কুখ্যাত এই রাজাকার কমান্ডার কায়সারের অপকর্ম নিয়ে আমি বিগত ২০০১ সালের ২ ফেব্র“য়ারী জাতীয় একটি দৈনিকে ‘সেই রাজাকার’ সিরিজে প্রথম রিপোর্ট প্রকাশ করেছিলাম। আজ এই লেখনীর স্বার্থকতা আসায় আমি সত্যিই আনন্দিত। তিনি বলেন, আমি চাই কায়সারের মৃত্যুদন্ড দ্রুত কার্যকরের মাধ্যমে হবিগঞ্জের ধর্ষিতা নারী, হত্যাযজ্ঞের শিকার মুক্তিযোদ্ধাসহ নানা পেশার লোকজনের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা দ্রুত বাস্তবায়ন করা হোক। এ ব্যাপারে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সাধারণ সম্পাদক শাহ জয়নাল আবেদীন রাসেল জানান, হবিগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের দাবি কুখ্যাত রাজাকার সৈয়দ কায়সারের ফাঁসির রায় ঘোষণার মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জবাসীর প্রত্যাশা পূরণ হতে যাচ্ছে। জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান জানান, রাজাকার সৈয়দ কায়সারের ফাঁসির রায়ে হবিগঞ্জবাসী আনন্দে আপ্লুত। শিগগিরই এ রায় কার্যকর করতে হবে।
Leave a Reply