,

প্রধানমন্ত্রী স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে দৃঢ় প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন-ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী বলেছেন, জেলা পরিষদ একটি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। কালের বিবর্তনে এ প্রতিষ্ঠান তার কার্যক্রম, ঐতিহ্য ও গুরুত্ব হারাতে থাকে। কিন্তু বতর্মান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় মনোবল ও সাহসিকতার কারণে পূনরায় তা ফিরে প্রাণ পেয়েছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরবর্তী পর্যায়ে বাংলার গরীব অসহায় নিপীরিত মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করার পদক্ষেপ নেয়া হয়। কিন্তু দুঃখের বিষয় ১৯৭৫ সালে পট পরিবর্তনের ফলে পরিকল্পনাটি বিঘিœত হয়। দীর্ঘ বছর অকার্যকর থাকে জেলা পরিষদ। কিন্তু বর্তমান সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকারকে শক্তিশালী করতে ৬১ জেলায় জেলা পরিষদ প্রশাসক নিয়োগ করেন। তার চূড়ান্ত রূপই আজকের জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী বলেন, বিভিন্ন জটিলতার অবসান করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্থানীয় সরকার শক্তিশালী করতে দৃঢ় প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। একদিন জেলা পরিষদই স্থানীয় সরকারের প্রাণ হয়ে উঠবে। গতকাল সোমবার হবিগঞ্জ জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহনকালে সাংবাদিক সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন ডাঃ মুশফিক হুসেন চৌধুরী। সভায় পরিষদ সদস্যরা স্ব-স্ব এলাকায় সততা ও দক্ষতার সাথে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্ট এলাকার জনসাধারণের সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শ কামনা করেন। সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কদ্দুছ আলী সরকার, জেলা পরিষদ সদস্য অলিউর রহমান সাদেক, নজমুল হাসান, নূরুল আমিন ওসমান, আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল, সৈয়দ মোঃ শামীম, আব্দুল মুকিত, এডঃ সুলতান মাহমুদ, মুর্শেদ কামাল, আশিক মিয়া, মনির হোসেন খান, আব্দুল মুহিত আছাব, আব্দুল মালিক, ফরিদ আহমেদ তালুকাদর, আলেয়া বেগম, রওশনারা আক্তার ভূইয়া লাকি, ছালেহা বেগম চৌধুরী, ফাতেমা-তুজ জহুরা রিনা, শিরিনা আক্তার।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর
Copy Protected by Chetan's WP-Copyprotect.