স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নবীগঞ্জের মিনাজপুর নামকস্থানে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে একদল দুর্বৃত্তরা কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করেছে। ভাংচুরের সময় নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ছাত্র শিবিরের ৪ ক্যাডারকে গ্রেফতার করেছে। বাকিরা মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে গেছে বলে সুত্রে জানাগেছে। অবরোধ চলাকালে মহাসড়কের নবীগঞ্জ অংশে গভীর রাতে প্রায়ই গাড়ি ভাংচুরের ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। আউশকান্দি এলাকার শিবির ও ছাত্রদলের নামধারী ক্যাডারগন এসব ভাংচুর ও নাশকতার ঘটনা সংঘঠিত করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আউশকান্দি এলাকার ছাত্রদল নেতা শিহাব আহমদের নেতৃত্বে কয়েকজন ছাত্রদল কর্মী ও শিবির নেতার নেতৃত্বে অবরোধ কর্মসূচীর নামে ওই সড়কে চলন্ত গাড়ীর গ্লাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার রাতে নাশকতা করে গাড়ি ভাংচুর ও পেট্রোল দিয়ে গাড়ি জ্বালানোর চেষ্টা করলে বানিয়াচং উপজেলার বিথলং গ্রামের সামছুদ্দিনের ছেলে আউশকান্দি শিবিরের নেতা দিলাওর হোসেন (১৮), ধোলচাতল গ্রামের আব্দুল মতলিবের ছেলে রুহুল আমীন তালুকদার (১৮), বাহুবলের মধুপুর গ্রামের আকুল মিয়ার ছেলে আব্দুল মজিদ (২২), সিট ফরিদপুর গ্রামের মৃত সিফত আলীর ছেলে রুমানুর রহমান (২০) কে পুলিশ আটক করে। পরে আটককৃতসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাতনামা ২০/২৫ জনকে আসামী করে শুক্রবার নবীগঞ্জ থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। উক্ত মামলায় বিএনপি ও জামায়াত শিবিরের শীর্ষ নেতাদের আসামী করা হয়েছে বলে সংস্লিষ্ট সুত্রে জানাগেছে। জানা যায়, রাত ১২টায় স্থানীয় ছাত্র শিবির ও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা মিলে আউশকান্দি বাজার সংলগ্ন মিনাজপুর গ্রামের কাছে ঢাকাগামী এনা পরিবহন এর ১টি, মিতালী পরিবহনের দু’টি, সুরমা পরিবহনের ১টি ও ২টি ট্রাকের গ্লাস ভাংচুর করে আগুন লাগানোর চেষ্টা করলে গাড়ির যাত্রীরা ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করলে গ্রামবাসী ছুটে এসে এ সব সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করলে তারা মোটর সাইকেল যোগে পালিয়ে যায়। এ সময় মহাসড়কের ডিউটি পুলিশের দল দ্রুত এসে ছাত্র শিবিরের উল্লেখিতদেরকে আটক করে। এব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার ওসি লিয়াকত আলী ও এস.আই নুর মোহাম্মদ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ৪ জনকে আটকের কথা জানান। এ ব্যাপারে বিশেষ বিচার আইনে মামলা হয়েছে।