জুয়েল চৌধুরী ॥ লাখাই উপজেলার সিংহ গ্রামে শিপা আক্তার (১৪) নামে এক কলেজ ছাত্রীকে পুকুরে ফেলে হত্যার চেষ্টা করেছে বখাটেরা। গতকাল সোমবার দুপুরে এ ঘটনাটি ঘটে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ওই গ্রামের সামসু মিয়ার কন্যা বুল্লা বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ষ্ট শ্রেণীর ছাত্রী শিপা আক্তার (১৪) কে স্কুলে আসা যাওয়ার পথে প্রায়ই উত্যক্ত করতো একই গ্রামের সাহাবুদ্দিনের লম্পট পুত্র সামসু আহমেদ (১৮)। এতে শিপা সায় না দিয়ে বিষয়টি পরিবারকে জানায়। শিপার পিতা প্যারালাইসড হয়ে শয্যাশায়ী থাকায় তার চাচা স্থানীয় মুরুব্বীদের নিকট বিচারপ্রার্থী হন। এতে সামসু ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং তার দল বল নিয়ে শিপার ক্ষতি করার পরিকল্পনা করতে থাকে। এমনকি তার পরিবারকে হুমকিও দেয় সে। হুমকির কারণে শিপা স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয়। গতকাল ওই সময় স্কুলে বেতন দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা লম্পট সামসু (১৮) ও তার সহযোগী একই গ্রামের সাজু মিয়ার পুত্র ইকবাল (১৬) শিপার পথরোধ করে ঝাপটে ধরে। তাদের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে শিপা ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে বখাটেরা শিপাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী পুকুরে পড়ে যায়। অবস্থা বেগতিক দেখে বখাটেরা শিপাকে পানিতে চুবিয়ে মারতে চায়। এসময় শিপার আর্তচিৎকারে স্থানীয় লোকজন পুকুরপাড়ে এগিয়ে গেলে বখাটেরা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় শিপাকে উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এদিকে শিপার আহতের খবর শুনে তার সহপাঠীরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।