চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ দিগন্ত জুড়ে এখন সবুজের বিছানা। যতদুর চোখ যায় শুধু সবুজ আর সবুজ। চারিদিকে এক নয়নাভিরাম দৃশ্য। কৃষকের হৃদয়ে সঞ্চারিত হচ্ছে ভিন্ন আমেজ। চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ নেই। ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নিচে নেমে গেছে। সেচ নিয়ে দুশ্চচিন্তার মাঝেও কর্মবীর কৃষকরা বিশাল জনগোষ্ঠীর খাদ্য চাহিদা মেঠাতে দিন রাত সমান তালে পরিশ্রম করছেন। একমুহুর্তের বসে থাকার সময় নেই কৃষকের। সারের মূল্য কম ও সহজলভ্যতা, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় কৃষকরা বোরো আবাদে বিরাট সুফল পাচ্ছেন। সার্বিক আবাদ পরিস্থিতি খুবই ভালো। এই চিত্র চুনারুঘাট উপজেলার। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানাগেছে, চুনারুঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে চলতি বোরো মৌসুমে ৭ হাজার ৩ শত ৫০ হেক্টর জমিতে কৃষকরা বোরো চাষ করেছেন। উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জালাল উদ্দিন জানান, এ উপজেলায় বোরো আবাদে সরকারী লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ৬ শত ৪৫ হেক্টর। কিন্তু ফসলের ভাল ফলনে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছারিয়ে ৩৩ হাজার ৭৫ মেঃ টন হবে বলে জানান। মাঠ পর্যায়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা বলেছেন, কৃষি অর্থনীতিতে উদ্দীপনা আনতে বহুমূখী পদক্ষেপের ফল এটি। কৃষি কার্যক্রমকে আরও এগিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে। মাঝে মধ্যে নানা মূখী সমস্যায় কৃষকরা দুশ্চিন্তায় পরে এটি সত্য, কিন্তু বর্তমানে কোন সমস্যা দেখা যাচ্ছে না। এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কৃষকদের শেষ হাসিটা অম্লান থাকে অর্থাৎ ধান ঘরে তুলা পর্যন্ত যাতে বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় সেই প্রত্যাশা করছেন সবাই। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার কৃষকদের সাথে কথা বললে তারা জানান, সংশ্লিষ্টরা কৃষিখ্যাতের দিকে সার্বণিক দৃষ্টি রাখছেন। মাঠ ঘুরে দেখা গেছে কৃষকদের দম ফেলার সুযোগ নেই। ধান পরিচর্যা ও সেচ দেয়া সহ প্রায় সারাণই রয়েছেন ব্যস্থতায়। পুরোদমে চলছে বোরো ধানের পরিচর্যা। মাঠে মাঠে দ্রুত বাড়ছে বোরো ধান। দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে ধানের চেহারা। আনন্দে দুলছে কৃষকদের মন। কিন্তু চলতি সপ্তাহে আবহাওয়ার বৈরী পরিবেশ ও শিলা বৃষ্টির কারণে অনেক বোরো ধানের ফসলি জমি বিনষ্ট হতে শুরু করেছে।