এম.এ.আই সজীব ॥ এক গৃহবধুর কান্ড! পরকীয়া প্রেমের টানে ৩ বার পালিয়ে গিয়েও ঠাঁই হলো না প্রেমিকের বাড়িতে, অবশেষে ঠাঁই হলো শ্রীঘরে। ঘটনাটি ঘটেছে বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের সায়পুর গ্রামে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৪ বছর আগে বানিয়াচং উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নের সায়পুর গ্রামের সাইদুর মিয়ার সাথে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে হয় সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার রানীগঞ্জ গ্রামের সায়েদ মিয়ার কন্যা হাসনা বেগমের। বিয়ের পর তাদের কোল জোড়ে ২টি সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের পর থেকে হাসনা পার্শ্ববর্তী বাড়ির সাইদুল (২০) নামের এক প্রতিবেশীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। প্রেমের টানে সম্প্রতি ২বার স্বামী, সন্তান তথা সংসার রেখে অজানার উদ্দেশ্যে পালিয়ে গিয়েও প্রেমিকের সাথে ঘর বাঁধা হয়নি। বাধ্য হয়ে স্বামীর ঘরেই ফিরে আসতে হয়েছে হাসনাকে। স্বামী সাইদুর মিয়াও তার সন্তানাদিদের দিকে তাকিয়ে মুখ বুঝেই স্ত্রীর এহেন আচরন সহ্য করে সংসার চালিয়ে যাচ্ছিল। কিন্তু নির্লজ্জ হাসনা গত ১২মে রাতে আবারও সাইদুলের হাত ধরে ঢাকায় কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় সাইদুলের চাচার বাড়িতে পালিয়ে যায়। ১০দিন পর ঢাকা থেকে গতকাল হবিগঞ্জে আসলে রাত অনুমান ৩টার দিকে গাড়ি থেকে নামলে শহরের রামকৃষ্ণ রোড এলাকায় পৌছামাত্র টহলরত পুলিশ এস.আই ছানাউল্লার সন্দেহ হলে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। থানায় নিয়ে গিয়ে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে সকল তথ্য বেরিয়ে আসে। এব্যাপারে হাসনার স্বামী সাইদুর জানায়, হাসনাকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করেছি, বিয়ের পর হাসনা পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পরে ২বার সাইদুলের সাথে পালিয়েও যায়। আমার ২টি সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি সব সহ্য করেছি। কিন্তু এখন আর তাকে নিয়ে সংসার করতে আমি চাইনা, প্রশাসন তার বিচার করুক এটাই আমার কামনা। এব্যাপারে হাসনা জানায়, স্বামীর আচরনে অতিষ্ট হয়ে আমি সাইদুলের সাথে বার বারই পালিয়ে যাই।