নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে নানা কৌশলে আবারো বেপরোয়া হয়ে উটেছে দেহ ব্যাবসায়ীরা। স্ব স্ব এলাকায় প্রভাবশালী কূচক্রি মহলের সেল্টারে দিন দিন চালিয়ে যাচ্ছে অসামাজিক কার্যকলাপ। এত ধ্বংশ হচ্ছে যুব সমাজ। অতি সম্প্রতি উপজেলার বহুল আলোচিত কুর্শি ইউনিয়নের বাংলা বাজারের আলোচিত মক্ষিরাণী সরদার জাহেরা ও তার সহযোগী পারভিনসহ খদ্দেরদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা সহ প্রশাসনের আওতায় আসার ৩/৪ দিন যেতে না যেতেই ফের সক্রিয় হচ্ছে দেহ ব্যবসার স্পট গুলো। উপজেলা সদর ও বাংলাবাজার এলাকায় প্রভাবশালী এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ কথিত নেতাদের মাধ্যমে চলছে এসবের জমজমাট বাণিজ্য। প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিতে দুস্কৃতিকারীরা নানা কৌশল অবলম্বন করছে বলে সূত্রে জানা গেছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে বাংলাবাজারে এক লন্ডন প্রবাসীর বিলাস বহুল বাসায় মক্ষিরাণী জাহেরা তার চাচাত্ব ভাই এক ইউপি চেয়ারম্যানের ছত্র ছায়ায় দীর্ঘ দিন ধরে এসব অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই প্রেক্ষিতে গত ২৩ জুন গভীর রাতে থানা পুলিশের অভিযানে বাংলাবাজারস্থ এনাতাবাদ গ্রামের মৃত তাজুদ মিয়ার কন্যা পতিতা জাহেরা ও তার সঙ্গিয় মৌলভীবাজার জেলা সদরের আবুল হোসেনের স্ত্রী পারভিন বেগমসহ ৩ খদ্দের অনৈতিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের রাইয়াপুর আদর্শ গ্রামের ইছরাক উল্লার ছেলে খালিক মিয়া (৩২), একই ইউনিয়নের তাহিরপুর গ্রামের আঃ রউপের ছেলে বারিক মিয়া (৩৫) ও কাদমা গ্রামের হাজী আব্দুল্লা‘র ছেলে মহসিন মিয়া (৩০) কে আটক করা হয় এবং আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জনপ্রতি মাত্র ৫ শত টাকা করে জরিমানা আদায় করা হলে মুক্তি পেয়ে এলাকায় গিয়ে আরো সক্রিয় হয়ে উঠে পতিতা চক্র। এছাড়াও বাংলাবাজারস্থ সমরগাঁও রোডে এক মক্ষিরাণী জনৈক ব্যক্তিদের সহায়তায় চালিয়ে যাচ্ছে দেহ ব্যাবস, কিন্তু রয়েছে ধরা ছোয়ার বাহিরে। অপর দিকে নবীগঞ্জ-ইনাতগঞ্জ সড়কের পৌর এলাকার হালিতলা বাজারের নিকটস্থ মৃত এক লন্ডন প্রবাসীর বিলাস বহুল বিল্ডিংসহ আরো কয়েকটি স্পটে চলে আসছে অবৈধ দেহ ব্যবসা। উপজেলা সদরের পৌরসভা অফিসের সিমানা দেয়ালের পিছনে এক মক্ষিরাণী রাজধানি ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে পতিতা এনে দীর্ঘ দিন ধরে চালিয়ে যাচ্ছে রমরমা দেহ ব্যবসা। এদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন সচেতন মহল। এছাড়াও বিভিন্ন সূত্রে প্রকাশঃ শরীরে বিভিন্ন ধরনের ড্রেস, মুখে ওড়না দিয়ে ডাকা। চোখ দুটি খোলা। স্নো-পাউডার মেখে একেবারে ফিটফাট। প্রথমে দেখে নিরেট কোনো ভদ্র, মার্জিত পর্দানশীল কেউ মনে হবে। পথচারির চোখে চোখ পড়ার সাথে সাথে ইশারায় বুঝিয়ে দেয়, তারা সমাজের অন্য নারীর মতো নয়। তাদের ল্য ভিন্ন। বুঝিয়ে দেয় অর্থ বিনিময়ে যে কারো সঙ্গে সময় তারা কাটাতে প্র¯'ত। তাদের পরিচয় তারা ভাসমান পতিতা। নবীগঞ্জ শহরের বিভিন্ন ¯'ানে নিরাপদে এই ব্যবসা চালানোর জন্য ¯'ানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সহায়তায় গড়ে তোলা হ"েছ শক্তিশালী নেটওয়ার্ক। এভাবে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে যা"েছ। নবীগঞ্জ শহর সহ উপজেলার বিভিন্ন ¯'ানে দিন নেই রাত নেই, চলছে ছদ্মবেশী পতিতাদের অবাধ বিচরণ। দিনকে দিন তাদের বিচরণ বাড়ছে, কমছে না। ক্রমে তা ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে।