জুয়েল চৌধুরী ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পশ্চিম বাগ গ্রামে শ্বশুর বাড়ি থেকে হোসনা বেগম (২০) নামে এক অন্তঃস্বত্তা গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন আত্মগোপন করেছে। তবে হোসনার পিতার দাবি তার মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে গেছে স্বামীর বাড়ির লোকজন। হোসনার পিতা জানায়, ৮ মাস পুর্বে উপজেলার শিবপাশা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের কন্যা হোসনাকে বিয়ে করে পশ্চিমবাগ গ্রামের মৃত আব্দুল কদ্দুসের পুত্র মিরাজুল মিয়া। বিয়ের পর মিরাজুলের আসল রূপ ধরা পড়ে। সে মাদকাসক্ত ও জুয়া খেলায় আসক্ত ছিল। এ কারণে সে হোসনাকে প্রায়ই মারধর করতো। গত রবিবার রাতেও একই কারণে হোসনার উপর নির্যাতন শুরু করে মিরাজুল। বিষয়টি হোসনা তার পিতাকে ফোনের মাধ্যমে জানায়। গতকাল সোমবার সকালে অচেতন অবস্থায় হোসনাকে স্বামী মিরাজুল দেবর তোফাজ্জুল, শ্বাশুড়ি চম্পা বেগম, ননদ তৃষ্ণা আখতার বানিয়াচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হোসনার মারা যাওয়ার খবর শুনে তারা তড়িগড়ি করে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে এবং রোমে রেখে পালিয়ে যায়। বিষয়টি আশপাশের লোকজন শিবপাশা পুলিশ ফাঁড়িতে অবগত করলে এসআই কামরুল ইসলাম মোল্লা লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। লাশের গলা ও শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হোসনার পিতা আপে করে জানায় তার কন্যাকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন হত্যা করে পালিয়ে গেছে। এব্যাপারে এসআই কামরুল ইসলাম জানান, লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, তবে ময়না তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া এ মুর্হুতে কিছু বলা যাচেছ না। আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি জানান, শ্বশুর বাড়ির লোকজনে ধরতে অভিযান চলছে।