জুয়েল চৌধুরী ॥ মাধবপুর উপজেলার উজ্জলপুর গ্রামে এক পিএসসি পরীক্ষার্থীকে গণধর্ষণ করেছে একদল লম্পট। বিষয়টি ধামাচাপা দিতে প্রভাবশালী মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। অবশেষে মূমুর্ষ অবস্থায় গতকাল শনিবার দুপুরে তাছলিমা বেগম (১৩) কে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পিতা জানান, একই গ্রামের বাচ্চু মিয়ার পুত্র সোহাগ মিয়া (১৭) ও রহমত আলীর পুত্র মহন মিয়া (১৮) গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তার কন্যাকে ডেকে নিয়ে যায় এবং বাড়ির পাশ্ববর্তী হাওরে ধানক্ষেতে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তার চিৎকারে লোকজন এগিয়ে আসলে ধর্ষণকারীরা পালিয়ে যায়। গতকাল শনিবার অসুস্থ মেয়েকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন তার পিতা। এব্যাপারে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালের আরএমও মহসিন করিম জানান, শনিবার দুপুরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে অনুযায়ী ডাক্তারী পরীক্ষা চলছে। মাধবপুর থানার ওসি মোল্লা মনির জানান, ওই শিশুর পরিবার বিষয়টি মৌখিকভাবে তাকে অবহিত করেছে। তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অপরদিকে বানিয়াচং উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের মর্দনপুর গ্রামে শাপলা আক্তার নামের ৪র্থ শ্রেণীর এক ধর্ষণ করেছে লম্পট। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে ওই গ্রামের মলাই মিয়ার কন্যা এবং স্থানীয় রাধা নন্দনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী। ওই ছাত্রীর দাদি নুরুন্নাহার বেগম জানান, গত শুক্রবার রাতে খাওয়া-ধাওয়া শেষে তার দুইবোনকে নিয়ে রোমে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত ১০টার দিকে রহমতপুর গ্রামের হিরাজ মিয়ার পুত্র স্থানীয় হাঁস খামারের রাখাল ইকবাল (২৫) ঘরের দরজা কৌশলে খুলে ভেতরে প্রবেশ করে শাপলাকে ধর্ষণের চেষ্ঠা চালায়। এসময় শাপলা ও তার দুই বোন জেগে গেলে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে শাপলাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায় লম্পট ইকবাল। শুধু তাই নয়, বিষয়টি কাউকে না জানানোর হুমকিও দিয়ে যায়। এতে করে শাপলা ও তার দুইবোন ভীতসন্তস্ত্র হয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। সকালে বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে শাপলাকে দুপুরে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এব্যাপারে বানিয়াচং থানার ওসি নির্মলেন্দু চক্রবর্তী জানান বিষয়টি শুনেছি, তবে অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেব।