রিপন দেব ॥ আজ ২৭ জানুয়ারী। নবীগঞ্জের কৃতিসন্তান সাবেক সফল অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়ার ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০০৫ সালের এই দিনে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যর বাজারে ঈদ পরবর্তী এক জনসভা শেষে বের হওয়ার পথে গ্রেনেড হামলার শিকার হন হবিগঞ্জ তথা দেশবাসীর প্রিয়মুখ সাবেক অর্থমন্ত্রী ও তৎকালীন এমপি শাহ এ এম এস কিবরিয়া। এই নির্মম হামলায় গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এই হামলায় আরো নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মঞ্জুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। মারাত্মকভাবে আহত হন হবিগঞ্জ-লাখাই আসনের বর্তমান এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট মো. আবু জাহিরসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী। শাহ্ এ.এম.এস কিবরিয়া ১৯৫৪ সালে পাকিস্তান সুপিরিয়র সার্ভিস পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করে পাকিস্তান ফরেন সার্ভিসে যোগ দেন। তিনি ভাষাসৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পক্ষে বিদেশে জনমত গঠন করেন। দেশ স্বাধীন হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পুনর্গঠনের কাজে যোগ দেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জাতিসংঘের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (এসকাপ) প্রধান নির্বাহী ছিলেন। শাহ কিবরিয়া ১৯৯৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান ছিলেন। পরে তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে তিনি হবিগঞ্জ-৩ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। হবিগঞ্জের মানুষ ১১ তম শাহাদৎ বার্ষিকীতে তাদের প্রিয় নেতা কিবরিয়া হত্যাকান্ড মামলার বিচার কার্যক্রম সম্পন্ন করে প্রকৃত জড়িতদের ফাঁসির দাবী জানিয়েছেন। এদিকে মরহুম কিবরিয়ার ১১তম মৃত্যু বার্ষিকীতে জেলা আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠন গুলো স্ব স্ব কার্যালয়ে নানা কর্মসূচী সহ শহীদ মরহুম কিবরিয়া- মঞ্জরুল হুদা মঞ্জু ফাউন্ডেশনও বৈদ্যের বাজারের স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পন, মিলাদ মাহফিল, মানববন্ধন সহ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।