স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ পৌর শহরের ছালামতপুর এলাকায় অবস্থিত সরকারের কোটি টাকার বিল রকম ভুমি থেকে প্রভাবশালীদের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরকারী ভূমিতে ঘর নির্মাণের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পরও বিলের পাড়ে ৩টি টিনসেট ঘর নির্মাণ করায় গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ স্থানীয় লোকদের সহযোগিতায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। সুত্রে জানাযায়, নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কের পাশে অবস্থিত পৌর শহরতলীর ছালামতপুর মৌজাস্থ জে,এল,নং ৯০, হাল ৯৩, দাগ নং ৩৩৬, হাল দাগ নং ৩৬৭ এর মোট মোয়াজি ৪ একর ৭১ শতক ভুমি রয়েছে। এর মধ্যে পৌর বাস টার্মিনালের দখলে রয়েছে ২ একর ১৫ শতক ও গ্যাস অফিসের দখলে প্রায় ১ একর। বাকি ১ একর ৫৬ শতক সরকারী বিল রকম ভূমি জবর দখলের চেষ্টা করছেন এক শ্রেণীর ভুমিখেকো প্রভাবশালীরা। সম্প্রতি ছালামতপুর গ্রামের ৭/৮ জনের একদল ভুমি দস্যু সরকারের বিল রকম ভুমি জবর দখলের জন্য দু’টি টিন সেট ঘর নির্মাণসহ মাটি ভরাট করার কাজ শুরু করে। খবর পেয়ে গ্রামবাসী বাধা দিলেও তারা কোন তোয়াক্কা করেনি। ফলে গত সোমবার সকালে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার হোসের বরাবরে গ্রামবাসীর পক্ষে মোঃ মালদার মিয়া সরকারের কোটি টাকার ওই সম্পত্তি রক্ষার জন্য জনস্বার্থে একটি আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে তাৎক্ষনিকভাবে ভুমি অফিসের সার্ভেয়ারকে সরজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেয়ার নিদের্শ প্রদান করেন। সার্ভেয়ার আমিনুল ইসলাম সরজমিনে গিয়ে মাটি ভরাটের কাজ বন্ধসহ অবৈধভাবে নির্মিত স্থাপনা গুটিয়ে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। অন্যতায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও হুশিয়ার করেন। কিন্তু প্রশাসনের বাধা উপেক্ষা করেই সরকারী ভূমিতে তিন’টি ঘর নির্মান করে ঘর প্রভাবশালীরা। এ ঘটনায় এলাকায় বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অবৈধভাবে সরকারী ভূমিতে নির্মিত তিন’টি ঘর ভেঙ্গে দেন।