প্রেস বিজ্ঞপ্তি ॥ হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির নব-নির্বাচিত আহ্বায়ক আতিকুর রহমান আতিকের বিরুদ্ধে শহরে জুতা মিছিল করা হয়েছে। দলের ত্যাগী নেতাদের বাদ দিয়ে দলচ্যুত নেতাদের দিয়ে জেলা জাতীয় পার্টির নতুন কমিটি নিয়ে আসার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বিকালে বিক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা এই জুতা মিছিল করেন। মিছিলটি হবিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। মিছিলে আতিকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় নেতাকর্মীরা। এদিকে দলচ্যুত নেতাদের দিয়ে হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির কমিটি গঠনের প্রতিবাদে এক পরামর্শ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকালে স্থানীয় বার লাইব্রেরীতে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ মুনিম চৌধুরী বাবু এমপির সভাপতিত্বে ও জালাল উদ্দিন খানের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন- চুনারুঘাট উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি তাজুল ইসলাম, তাজউদ্দিন আহমেদ বাবুল, এডভোকেট শিবলী খায়ের, বাহুবল উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সফি আহমেদ চৌধুরী, আ ফ ম উস্তার তালুকদার, নবীগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মাহমুদ চৌধুরী, নবীগঞ্জ পৌর জাতীয় পার্টির সভাপতি আতাউর রহমান চৌধুরী নোমান, সাধারণ সম্পাদক মুরাদ আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মোঃ শামছুল ইসলাম, নিজাম উদ্দিন সানু, জেলা যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক অলিউর রহমান সোহাগ, জেলা ছাত্র সমাজের সাধারণ সম্পাদক রিপন আহমেদ, ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আব্দুল মতিন চৌধুরী ও স্বপন আহমেদ, খলিলুর রহমান দুদু, মাসুক আহমেদ, আব্দুল হাই, হেলাল মিয়া, নুরুল আমিন পাঠান ফুল মিয়া, নুরুল হক তুহিন, ফারুক মেম্বার, কমান্ডার এম.এ খালেক, লুৎফুর রহমান, আব্দুল আউয়াল কুটি, আলী আহমেদ, ফটিক খান প্রমুখ। সভায় তৃণমূলের নেতৃবৃন্দরা বলেন- হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু ও সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক জালাল খানের নেতৃত্বে হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টি সুসংগঠিত হয়ে উঠেছিলো। তাদের দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃতে জেলার প্রত্যেকটি উপজেলা ও পৌর কমিটির নেতৃবৃন্দরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে দলকে আরো শক্তিশালী করে তুলেছিলো। হঠাৎ করে আতিক হবিগঞ্জ জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক নির্বাচিত হওয়ায় জেলার সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশার সৃষ্ঠি হয়। তারা বলেন, বসন্তের কোকিলের মত আতিক সিলেট থেকে হবিগঞ্জে এসেছিল। নিজের স্বার্থ হাসিল না হওয়ায় জাতীয় পার্টি ও পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদের সাথে বেইমানী করে পার্টি ছেড়ে চলেও যান। এই আতিক যাওয়ার সময় পত্রিকায় বিবৃতি দিয়ে জাতীয় পার্টি ও পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিলেন। এই আতিক বৃহত্তর সিলেটে জাতীয় পার্টিকে ধ্বংস করেছেন। হবিগঞ্জেও জাতীয় পার্টিকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে এসেছেন। বক্তারা বলেন- সিলেটে নিজের এলাকার মানুষ এই আতিককে গ্রহন করেনি। নিজের আসনে ৩বার নির্বাচন করে আতিকের চরম ভরাডুবি হয়েছিল। তাই সিলেট থেকে বিতারিত হয়ে হবিগঞ্জে এসে নির্বাচন করেছেন। হবিগঞ্জের মানুষ কোন বহিরাগতকে মেনে নেয়নি। তাই গত ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে হবিগঞ্জেও আতিকের চরম ভরাডুবি হয়েছে। বক্তাগন উক্ত কমিটিকে বাতিল করে এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু ও জালাল খানের নেতৃত্বে জেলা জাতীয় পার্টি পুনবহালের জন্য পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের প্রতি জোড় দাবী জানান।