সময় ডেস্ক ॥ সিলেটে ছাত্রলীগ নেতা বদরুলের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত খাদিজা চোখ মেলেছে, ডান পা নাড়াচ্ছে। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে খাদিজা ৯৬ ঘণ্টা থাকার পর প্রেস ব্রিফিং এর মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডাঃ এএম রেজাউস সাত্তার। শনিবার দুপুর ১টার দিকে স্কয়ার হাসপাতালে এ প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। হাসপাতালের নিউরো সার্জন ডা. এএম রেজাউস সাত্তার বলেন, আগে তার বেঁচে থাকার সম্ভবনা ছিল ৫%, এখন সেটা বেড়ে ১০% এর মতো হয়েছে। আরও দুই-তিন সপ্তাহ পর খাদিজার সম্পর্কে আরও ভালো কিছু বলা যাবে। এখনও খাদিজা আইসিইউতে লাইফ সাপোর্টেই আছে বলে জানান রেজাউস সাত্তার। তিনি আরও বলেন, এ ধরণের আঘাতের ক্ষেত্রে গোল্ডেন টাইম বলতে একটা কথা আছে। অর্থাৎ এরকম আঘাত পাওয়ার পর চার ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা। খাদিজার ক্ষেত্রে সেটা হয়নি। অনেক দেরিতে আমাদের কাছে এসেছে। তবে এখন আমাদের আশা বেড়েছে, তার বেঁচে থাকার সম্ভবনা অল্প হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। ‘এ ধরণের আঘাত সইবার মতো তার শারীরিক সামর্থ কম, তার বয়স কম, এজন্য ঝুঁকি বেশিই’- বলেন রেজাউস সাত্তার। হাসপাতালের ডেপুটি মেডিকেল ডিরেক্টর ডা. মির্জা নিজামউদ্দিন বলেন, তার ¯œায়ূর উন্নতি এখনও উল্লেখযোগ্যভাবে হয়নি। অপারেশনের পর তাকে ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। এরপর আরও ৪৮ ঘণ্টা দেখা হয়েছে। তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের আরও সতর্ক হয়ে সংবাদ পরিবেশনের অনুরোধ করেছেন। এ প্রসঙ্গে মির্জা নিজামউদ্দিন বলেন, কোথাও কোথাও প্রচার করা হয়েছে, মেয়েটি নাকি মারা গেছে, তার অবস্থা নাকি অনেক খারাপ হয়েছে। কিন্তু কোথায়? অল্প হলেও তার অবস্থার উন্নতি ঘটেছে, ও তো বেঁচেই আছে।