মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের বনকাদিপুর গ্রামে একটি মেছো বাঘ আটক করা হয়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে ওই গ্রামের আলাউদ্দিনের বাড়ি থেকে বাঘটি আটক করা হয়। এই চাঞ্চল্যকর খবর এলাকায় জানাজানি হলে শত শত উৎসুক জনতা বাঘটিকে এক নজর দেখার জন্য ওই বাড়িতে ভিড় জমান। বাঘ আটকের বিষয়টি বন্য ও প্রাণী মন্ত্রনালয়ের মৌলভীবাজার শাখাকে অবহিত করা হলে গতকাল শনিবার দুপুরে তারা মেছো বাঘটি উদ্ধার করে নিয়ে যান। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বনকাদিপুর গ্রামের আলাউদ্দিনের বাড়িতে একটি হাঁসের ফার্ম রয়েছে। উক্ত ফার্মটি দেখা শুনা করেন তার ছেলে মাহমদ আলী। মাহমদ আলী প্রতিদিন সকালে ফার্মে গিয়ে দেখেন তার হাঁসের সংখ্যা কমছে। তিনি বুঝতে পারেন রাতের বেলা হয়তো কোন কিছু এসে হাঁস খেয়ে ফেলে, নতুবা কেউ চুরি করে নিয়ে যায়। কিন্তু ওই ফার্মে যে বাঘ আসতে পারে তা তিনি কল্পনাও করতে পারেননি। এক পর্যায়ে তারা (২য় পৃষ্ঠায় দেখুন) বুঝতে পারেন যে একটি বাঘ তাদের হাঁস খেয়ে পেলে। তখন পরিকল্পনা করেন কিভাবে বাঘটি আটক করা যায়। শেষে গত শুক্রবার রাতে একটি লোহার খাঁচা এনে ফাঁদ পেতে খাঁচার ভিতরে একটি হাসঁ ভরে উক্ত ফার্মের পাশে রাখেন। ওইদিনই রাত ২ টার দিকে বাঘটি ওই খাঁচার ভিতরে প্রবেশ করা মাত্র বন্দি হয়ে পড়ে। বাঘ আটকের খবরটি জানাজানি হলে এলাকার শত শত উৎসুক জনতা বাঘটিকে এক নজর দেখার জন্য ঐ বাড়িতে ভিড় জমান। পরে গতকাল শনিবার দুপুরে বন্য ও প্রাণী মন্ত্রনালয়ের মৌলভীবাজার জেলার বিট অফিসার মোনাইম হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন কর্মকর্তা ওই বাড়িতে আসলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আবু সাঈদ এওলা মিয়া বাঘটি তাদের নিকট হস্থান্তর করেন। এসময় ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান ছাদিক মিয়া, ইউপি সদস্য খালেদ আহমেদ দুলন, ইউসুফ আলী, ফখরু মিয়া, ইউপি তথ্য সেবা কেন্দ্রের পরিচালক মনসুর আহমেদ নাঈম এবং ইউপির সকল সদস্যবৃন্দসহ এলাকার অনেক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। দীঘলবাক ইউনিয়নের তথ্য সেবা কেন্দ্রের পরিচালক মনসুর আহমেদ নাঈম জানান, কৌশলে বাঘটি আটক করে বন বিভাগে খবর দেই। পরে বন্য ও প্রাণী মন্ত্রনালয়ের মৌলভীবাজার জেলার কয়েকজন কর্মকর্তা এসে বাঘটি নিয়ে যান। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বেও উপজেলার উক্ত দীঘলবাক ইউনিয়নের বনকাদিপুর গ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে একাধীক বার বাঘ আটক করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট হস্থান্তর করা হয়েছে।