মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার রসুলগঞ্জ বাজারে জুয়ার আসর থেকে ৬ জুয়ারীকে আটক করে প্রত্যেককে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার উক্ত দন্ডাদেশ দেন। দন্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন, বানিয়াচং উপজেলার কালাইনজুরা গ্রামের ছমর উদ্দিনের ছেলে সাহেব আলী (৩৫), গুনই গ্রামের মৃত আক্তার উল্লার ছেলে আব্দুল হাকিম (৩৫), বক্তারপুর গ্রামের হাজী খালেকের ছেলে কাউছার আহমেদ (২৫), নবীগঞ্জের মান্দারকান্দি গ্রামের মনর উদ্দিনের ছেলে কামাল মিয়া (৩৩), রাইয়াপুর গ্রামের মজদর আলীর ছেলে করাছ আলী (৩২), তাহিরপুর গ্রামের বাদশা মিয়ার ছেলে হারুন মিয়া (৪৫)। ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে নবীগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের রসুলগঞ্জ বাজারে খরছু মিয়ার পুত্র সুমনের নেতৃত্বে মাকের্টের দু’তলায় বিকাল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত জমজমাট জোয়ার আসর চলে আসছিল। এ আসরে জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে পেশাদার জুয়ারীরা অংশগ্রহন করে। এতে করে এলাকার যুবসমাজ দিন দিন বিপথগামী হচ্ছে ও এলাকায় চুরি রাহাজানি বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও অভিযোগ উঠে। এ কর্মকান্ডে এলাকাবাসী, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের লোকজনের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দেয়। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকায় “নবীগঞ্জের রসুলগঞ্জ বাজারে জমজমাট জুয়ার আসর” শিরোনামে ছবিসহ সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এদিকে, গতকাল বিকেলে পুনরায় খেলা শুরু করে জুয়ারীরা। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজেষ্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই মুর্শেদ আহমদ ও এসআই মোঃ মোবারক হোসেন সহ একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনস্থলে যান। এসময় ৬ জুয়ারীকে হাতেনাতে আটক করলেও অনেক জুয়ারী পালিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে প্রত্যেককে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক তাজিনা সারোয়ার। স্থানীয়রা জানান, উক্ত মার্কেটের মালিক ও জোয়া আসরের মূলহুতা খরছু মিয়ার পুত্র সুমন আহমদ পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। এছাড়া অপরদিকে নবীগঞ্জ থানার পাশ্ববর্তী বানিয়াচং উপজেলার বেতকান্দি গ্রামের পশ্চিমে নজরুল মিয়ার মৎষ্য খামারে ঘর তৈরী করে বিভিন্ন এলাকা থেকে জুয়ারীরা গাড়ী বহর করে আনা গোনা দেখা যায়, প্রায় প্রতি রাতেই দেখা যায় ওই গ্রামের মৃত: তাহিদ মিয়ার পুত্র হজলু মিয়া ও মৃতঃ আঃ খালিকের পুত্র ইসলাম উদ্দিন গংদের ছত্র ছায়ায় এ জোয়ার আসর বসে বলে এ প্রতিনিধিকে জানান এলাকার লোকজন। এ ব্যাপারে কেউ মুখ কোলার সাহস পাচ্ছেন না। ফলে ওই এলাকার যুব সমাজ দিন দিন বিপদ গামী হচ্ছে। যার ফলে এলাকায় চুরি, ডাকাতি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এদেরকে গ্রেফতার করলে ওই এলাকার বিভিন্ন অপকর্ম থেকে রক্ষা পাবে এলাকার লোকজন। তাই বিষয়টি উধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া জরুরী বলে মনে করেন এলাকার লোকজন।
Leave a Reply