বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার মিরপুর চৌমুহনীতে অবস্থিত ব্রিজের রাস্তা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে ফলের দোকান সহ অবৈধ দোকানপাট। অভিযোগ রয়েছে, এলাকার প্রভাবশালী কতিপয় লোক দোকান প্রতি দৈনিক মাসুয়ারার মাধ্যমে টাকা করে আদায় করছে। ব্রিজে অবৈধ দোকান থাকার ফলে যানজট চরম আকার ধারন করেছে। মিরপুর চৌমুহনীটি দেখলে মনে হয় অবৈধ দোকানপাট ও যানজট নিরসনে দেখার কেউ নেই। প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা নিরব। অবৈধভাবে নির্মিত দোকানপাঠ বখাটেদের নিরাপদ আড্ডাখানায় পরিনত হয়েছে। রাস্তার ওপর নির্মিত অবৈধ পানের টংদোকান ও চায়ের স্টল ও ফলের দোকানে বসে বখাটেরা স্কুল-কলেজগামী ছাত্রীদের উত্যক্ত করে। সরকারী রাস্তা দখল করে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণের ফলে মুল সড়ক সরু হয়ে পড়ায় প্রায়ই ঘটছে ছোটবড় নানা দুর্ঘটনা। ২০০৭ সালের পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আর কোন প্রশাসনিক অভিযান না হওয়ায় বর্তমানে অবৈধ দোকান পাঠে সয়লাব হয়ে পড়েছে সরকারী রাস্তার পার্শ্বে। ভুক্তভোগী মহল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের আবেদন নিবেদন করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। সরেজমিন ও অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার মিরপুর বাজার সংলগ্ন দুইটি কলেজসহ ৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও দুরবর্তী উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিদিন শত শত ছাত্রছাত্রী যাওয়া আসা করে। অবৈধ স্থাপনায় রাস্তা সরু হওয়ায় সব শ্রেণীর শিক্ষার্থী দুর্ভোগ পোহান ও বখাটে কর্তৃক ছাত্রীরা হয়রানীর শিকার হয়। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে ইতিপুর্বে ইউএনও বরাবরে অবৈধ দোকান পাঠ উচ্ছেদের আবেদন করেও কোন কাজ হয়নি। এছাড়াও উপজেলার বাহুবল বাজার, ডুবাঐ বাজার, পুটিজুরী বাজার, দ্বিগাম্বর বাজার, নন্দনপুর, স্নানঘাট বাজার সহ বিভিন্ন বাজার এলাকার সরকারী রাস্তা দখল করে অবৈধ দোকান পাঠ বসানোর কারনে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন পথচারী, সাধারন মানুষ ও শিক্ষার্থী। পশ্চিম জয়পুর গ্রামের উস্তার মিয়া জানান, উপজেলার বাণিজ্যিক এলাকা মিরপুর বাজারে যে ভাবে অবৈধ দোকানপাঠ গড়ে উঠছে এতে মনে হয় প্রশাসন নেই। তিতারকোনা গ্রামের শাহজাহান মিয়া বলেন, তার মেয়ে আলিফ সোবহান চৌধুরী ডিগ্রি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। সে প্রতিনিয়ই তার বাবার কাছে অভিযোগ করে বলে চৌমুহনায় যানজটের কারনে ব্রিজের পাশ দিয়ে ঘেষে চৌমুহনা পার হতে হয়। এ সময় দোকানে বসে ছেলেরা তাদেরকে বিভিন্নভাবে টিজ কাটে। আব্দুল্লাপুর গ্রামের এনজিওকর্মী রুনা আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের মিরপুরবাসী প্রশাসনের কোন সহযোগিতা কি আদৌ পাবে। বাহুবল উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম শনিবার বলেন, রাস্তার ওপরের অবৈধ দোকানপাঠ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে উঠিয়ে দেওয়া হবে। তবে কবে নাগাদ অভিযান হবে তিনি তা বলেননি।
Leave a Reply