জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ পৌরসভায় নম্বর প্লেট আছে এমন বৈধ টমটম রয়েছে ১১২০টি। অথচ অবৈধভাবে শহরে দাঁপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় ২ হাজার টমটম। নুতন ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে চৌধুরীবাজার, চৌধুরীবাজার থেকে পোদ্দার বাড়ি পর্যন্ত ব্যাটারিচালিত অটোবাইক চলাচল করলেও কতিপয় প্রভাবশালীর ছত্রছায়ায় কাগজপত্র না থাকলেও এগুলো চলাচল করছে। তবে ঠিক কতগুলো অটোবাইক (টমটম) হবিগঞ্জ শহরে চলাচল করছে তার নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই জেলা ট্রাফিক বিভাগের কাছে। পৌরসভা সুত্রে জানা গেছে, পৌর এলাকার ভেতর অবৈধ অটোবাইকের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় দেড় হাজার। জানা গেছে, হবিগঞ্জ শহরের নতুন ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে থানার মোড় হয়ে চৌধুরী বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা। বাইপাস সড়কও রয়েছে। ২০১০ সালের আগে এই সড়ক ছিল প্যাডেল চালিত রিকশার দখলে। এরপর অনুমোদনহীনভাবে শহরের রাস্তায় ব্যাটারি চালিত অটোবাইক টমটম চলাচল শুরু করে। প্রথম দিকে অটোবাইকগুলো সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও এটি এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে শহরবাসীদের জন্য। ভুক্তভোগী স্কুল শিক্ষক হাবিব জানান, অবৈধ অটোবাইকের যন্ত্রণায় মেইন শহর দিয়ে চলাচল করা যায় না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। হবিগঞ্জ রিপোর্টার্স ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সেলিম বলেন, পৌরসভা থেকে (২০১৬-২০১৭) অর্থবছরে যেসব অটোবাইক অনুমোদন পেয়েছে শুধুমাত্র সেগুলো চলাচল করলেও শহরের যানজট লেগে থাকে। কিন্তু যেসব টমটম শহরে চলাচল করে সেগুলোর বেশির ভাগই অনুমোদনহীন। তিনি বলেন, এই শহরকে যানজটমুক্ত রাখতে হলে অবৈধভাবে চলাচল করা অটোবাইক ও রিকশা উঠিয়ে দিতে হবে। তাহলেই শহর যানজটমুক্ত হবে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলর জানান, সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোবাইক শহরে এসে চলাচল করায় ছোট্ট শহরে যানজট সৃষ্টি হয়। এসব নিয়ন্ত্রণে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিনিয়ত মোবাইল কোট পরিচালনা করা হয়। তার মতে এসব টমটমের বিরুদ্ধে বিআরটিএ ব্যবস্থা নিলে শহর অনেকটাই যানজটমুক্ত থাকবে।
Leave a Reply