স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘ ৪৫ বছর পর হবিগঞ্জ জেলার একমাত্র বুদ্ধিজীবি শহীদ অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের জন্মভূমি জন্তুরী গ্রামের বসতভিটার স্থাপিত হল ‘শহীদ অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের স্মৃতিস্তম্ভ’। এমপি কেয়া চৌধুরী সরকারের বরাদ্দ থেকে নবীগঞ্জের জন্তরী গ্রামের বাসিন্দা শহীদ বুদ্ধিজীবী অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের নামের স্মৃতিস্তম্ভ নিমাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। যা ১৪ই ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে এমপি কেয়া চৌধুরী উদ্বোধন করার কথা থাকলেও কেয়া চৌধুরীর প্রস্তাবে শহীদের একমাত্র বোন প্রীতিলতা ভট্টাচার্যের হাতে শহীদের ছোটবেলায় খেলার প্রাঙ্গণ পুকুর পাড়ে স্থাপিত করা স্মৃতিস্তম্ভ প্রদীপ জ্বালিয়ে তা উদ্ভোধন করেন। সূত্র জানায়, ৫ নভেম্বর শহীদ অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের গ্রামের বাড়িতে এমপি কেয়া চৌধুরী পরিদর্শন করেন। এসময় এমপি কেয়া চৌধুরী শহীদ অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের নামে তার নিজ বসতভিটার প্রবেশ মুখের পুকুর পাড়ে স্মৃতিস্তম্ভটি নির্মাণ ও যে মাটির সড়ক দিয়ে শহীদ নিজ বসতবাড়িতে যেতেন, সে সড়কটি তার নামে নামকরণ করার সিদ্ধান্ত হয়। এর জন্য এমপি কেয়া চৌধুরী শহীদের বোন প্রীতিলতা ভট্টাচার্যের নামে ৩ লাখ ১৫ হাজার টাকা বরাদ্দ দেন। এ বরাদ্দ অনুযায়ী ৫ ডিসেম্বর প্রীতিলতা গীতা পাঠ করে কাজ শুরু করেন। কাজ শেষ হওয়ায় প্রীতিলতার হাত দিয়েই কেয়া চৌধুরী এ স্মৃতিস্তম্ভ উদ্বোধন করান। ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি বিপদ ভঞ্জন বাকছির সভাপতিত্বে ও ভানু লাল দাশের সঞ্চলানায় উদ্বোধনী সভায় প্রধান অথিতি ছিলেন শহীদের বোন প্রীতিলতা ভট্টাচার্য। এ সভায় বক্তব্যে এমপি কেয়া চৌধুরী বলেন, শহীদ অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্যের ঋণ শোধ হবার নয়। নতুন প্রজন্মের কাছে এ শহীদের অবদান পৌঁছে দিতেই এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছে। শুধু তাই নয় তার বাড়ির রাস্তাটিও ‘শহীদ অনুদ্বৈপায়ন ভট্টাচার্য’ নামে নামকরণ করা হচ্ছে। আমরা এ শহীদকে শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করছি। তিনি আমাদের মনের মধ্যে অমর হয়ে থাকছেন। সভায় নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিজভী আহমেদ খালেদ, নবীগঞ্জ উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক শাহ্ গুল আহমদ কাজল, উপজেলা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি দুলাল চৌধুরী, যুবলীগ নেতা লেবু আহমেদ জেবু, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্য সচিব রতœদ্বীপ দাশ রাজু, বীর মুক্তযোদ্ধা কমরু মিয়া, ইরেশ দাশ, ইউপি মেম্বার সাইদুর রহমান, ফনি ভূষন দাশ, নূর মিয়া, মিজানুর রহমান, অলিউর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান রুপায়ন দাশ, ডাঃ নিজামুল চৌধুরী, বিশ্বদ্বীপ বাকচি (মুন্না), মাষ্ঠার ভৈরব দাশ, পান্না লাল ভট্রাচার্য্য, মানিক লাল আচার্য্য, শংকর ভট্রাটার্য, সত্যজিত ভট্রাচার্য্য, সৃজন ভট্রাচার্য্য, সুদীপ পুরকায়স্থ, ভবেশ দেব বক্তব্য রাখেন। সভায় তৃণমূল পর্যায়ের শত শত লোকজন উপস্থিত ছিলেন।