জুয়েল চৌধুরী ॥ টাইগার এনার্জি ড্রিংক্সে নেশাদ্রব্য খাইয়ে কিশোরীকে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কিশোরীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজন মুমুর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে ভর্তি কিশোরী (১৬) জানায়, দীর্ঘদিন ধরে সে অলিপুর প্রাণ কোম্পানীতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত রয়েছে। কর্মস্থলে আসা যাওয়ার সুবাদে লস্করপুর গ্রামের ইদ্রিস আলীর পুত্র লম্পট সুহেল মিয়া (২৫) তাকে প্রায় সময়ই কুপ্রস্তাব দেয়। কিন্তু সুহেল বিবাহিত এবং সে এক সন্তানের জনক হওয়ায় ওই কিশোরী তা প্রত্যাখান করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে লম্পট সুহেল। প্রতিদিন তার আসা যাওয়ার পথে রাস্তায় দাড়িয়ে দলবল নিয়ে কিশোরীকে উত্যক্ত করে সুহেল। বিষয়টি ওই কিশোরীর পরিবার সুহেলের পরিবারকে জানালে সে আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। সোমবার সকালে প্রাণ কোম্পাণী থেকে বাড়িতে এসে সে কিছুক্ষণ সময় ঘুমিয়ে থাকে। এরপর জেগে উঠে বাড়ির পাশে হাটাচলা করার সময় সুহেল তার নিকট এসে বিভিন্নভাবে প্রলুব্দ করে। এক পর্যায়ে সুহেল টাইগার্স এনার্জি ড্রিংকস খেতে তাকে অনুরোধ করে। পাশের বাড়ির ও প্রতিবেশী হিসেবে ভাই হওয়ায় সরল বিশ্বাসে সে টাইগার ড্রিংক্স খায়। খাওয়ার পরই সে অচেতন হয়ে পড়ে। এ সুযোগে ওই কিশোরীকে সুহেলের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে বিকালে কিশোরীর জ্ঞান ফিরে এলে সে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ব্যাপারে ডাক্তার দেবাশীষ দাস জানান, ভর্তি খাতায় ধর্ষণ হয়েছে মর্মে লিপিবদ্ধ আছে। মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর কারণ জানা যাবে। আজ মঙ্গলবার ওই কিশোরীর ডাক্তার পরীক্ষা হওয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়টি স্থানীয় মাতব্বররা ধামাচাপার চেষ্টা করছে বলে কিশোরী অভিযোগ করে।