স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক ও নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি (একাংশ) মুরাদ আহমদ গুরুতর আহত হয়েছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নবীগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকরা তাৎক্ষনিক জরুরী সভায় ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি করেছেন। অন্যতায় দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলার ঘোষণা দিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সোমবার বিকেলে নবীগঞ্জ শহরের ওসমানী সড়কের নাঈস বাংলা রেস্টুরেন্টে সাংবাদিক মুরাদ আহমদের সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল জাহান চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এসময় সাইফুল জাহান চৌধুরী সন্ত্রাসীদের মোবাইল ফোনে মুরাদের উপর হামলার নির্দেশ দেয়। নাঈস বাংলা রেষ্টেুরেন্ট থেকে সাংবাদিক মুরাদ তার বাসভবন শহরের নুরানী মাকের্টের ভেতরে প্রবেশের সময় সাইফুল জাহান চৌধুরীর শ্যালক আলমগীর ও সাংবাদিক আলীম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী আলমের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মুরাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালায়। এসময় মুরাদের আর্তচিৎকারে নূরানী মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে সন্ত্রাসীরা তাকে জিম্মি করে মধ্যবাজারের ৮নং সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের অফিসের সামনে নিয়ে রাস্তায় ফেলে বেদরক মারপিট শুরু করে। সন্ত্রাসীদের বেদরক মারপিটে সাংবাদিক মুরাদ জ্ঞান হারিয়ে ফেললে সন্ত্রাসীরা তাকে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। এসময় স্থানীয় লোকজন তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্বার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সন্ত্রাসী হামলায় সাংবাদিক মুরাদ আহত হওয়ার খবর পেয়ে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ তাৎক্ষনিক হাসপাতালে ছুটে যান এবং তার চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। পরে ক্লাব কার্যালয়ে এক সভায় সাংবাদিক মুরাদ এর উপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং ২৪ ঘন্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের প্রতি আহবান জানান। খবর পেয়ে হবিগঞ্জ-১ (নবীগঞ্জ-বাহুবল) আসনের এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু, উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী, পৌর মেয়র আলহাজ্ব ছাবির আহমদ চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাউসা ইউপি চেয়ারম্যান আবু সিদ্দিক, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক আহমদ মিলু, রিজভী আহমেদ খালেদ, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, জেলা পরিষদের সদস্য আব্দুল মালিক, নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আলাউর রহমান, নবীগঞ্জ প্রেস কাবের সাবেক সভাপতি আনোয়ার হোসেন মিঠু, কাউন্সিলর আলাউদ্দিন আহমেদ, জাকির আহমেদ, জাহেদ চৌধরী, দৈনিক বিবিয়ানার সম্পাদক ফখরুল ইসলাম চৌধুরী, নবীগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কিবরিয়া চৌধুরী, দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার প্রকাশক ও বার্তা সম্পাদক সেলিম তালুকদার, সাংবাদিক শাহ মিজানুর রহমান, শামসুল ইসলাম, সাংবাদিক সরোয়ার সিকদার, গোলাম রহমান লিমন, মোঃ আবু তালেব, আব্দুর রকিব হক্কানী, আলমগীর মিয়া, নাবিদ মিয়া, মতিউর রহমান মুন্না, শাওন আহমদ, উপজেলা যুব-সংহতির আহবায়ক নুরুল আমিন ফুল মিয়া সহ নেতৃবৃন্দ তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এমপি মুনিম চৌধুরী বাবু ও উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা করছেন।