স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জে ৭ম শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে জোরপুর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টার ঘটনায় বুধবার দুপুরে হাজারও জনতার বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কার্যালয়ের সামনে মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় নির্বাহী অফিসার অপরাধীদের গ্রেফতারে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ৬নং কুর্শি ইউনিয়নের মাইজপাড়া গ্রামে মাওলানা আঃ আজিজের দোকানের সামন থেকে ৮নং নবীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের হালিতলা গ্রামের বাসিন্দা শহরের হিরামিয়া গার্লস হাই স্কুলে’র ৭ম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে জোরপুর্বক তুলে নেয়ার চেষ্টা করে ২/৩ জন যুবক। স্থানীয় জনতা গণধোলাই দিয়ে শাহেদ মিয়া (২২) নামের এক লম্পটকে থানায় সোপর্দ করলে থানা পুলিশ তাকে ভ্রাম্যমান আদালতে উপস্থিত করলে বিচারক সহকারী কমিশনার (ভূমি) জীতেন্দ্র কুমার নাথ ৬ মাসের কারাদন্ড প্রদান করেন। বাকী দুই ইভটিজারকে গ্রেফতারের দাবিতে গতকাল বুধবার দুপুরে হালিতলা গ্রাম ও আশপাশের প্রায় হাজারো ছাত্র জনতা বিক্ষোভ সহকারে শহরে প্রবেশ করলে উত্তপ্ত অবস্থার সৃষ্টি হয়। বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে মানববন্ধনে মিলত হয়। এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাজিনা সারোয়ার তার অফিস থেকে মানববন্ধনে অংশকারীদের উদ্দ্যেশে অপর দুই ইভটিজার গন্ধ্যা গ্রামের ওয়াছির মিয়ার পুত্র রিপন মিয়া ও হালিতলা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র কাউসার মিয়াকে আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিলে উত্তেজিত জনতা শান্ত হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। স্বারকলিপিতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ইভটিজারদের আইনের আওতায় না আনলে পরবর্তী কর্মসূচী ঘোষণা করা বলে জানানো হয়।