শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ শায়েস্তাগঞ্জের পুটিয়া গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে যুবতির সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছে এক লম্পট। পরে বিয়ে না করায় যুবতির অভিযোগে লম্পটকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের কন্যা শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী আঙ্গুরা খাতুন (১৮) এর সাথে মোবাইল ফোনের রং নম্বরে পরিচয় হয় একই উপজেলার গোড়াবই গ্রামের আক্তার মিয়ার পুত্র ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান (২২) এর। এক পর্যায়ে মিজান তার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা চালায়। কিন্তু আঙ্গুরা এতে রাজি না হলে মিজান তাকে বিয়ের আশ্বাস দেয়। ২০১৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আঙ্গুরার সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে মিজান। এক পর্যায়ে চলতি বছর এসে আঙ্গুরা খাতুন তার শরীরে পরিবর্তন আচঁ করতে পেরে। বিষয়টি মিজানকে জানালে সে কৌশলে আঙ্গুরাকে হবিগঞ্জ শহরের একটি ক্লিনিকে এনে গর্ভপাত ঘটায়। এরপরও তারা তাদের শারীরিক সম্পর্ক অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে মিজান আঙ্গুরার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিলে আঙ্গুরা সমাজপতিদের কাছে বিচারপ্রার্থী হয়। কিন্তু বিচার না পেয়ে অবশেষে গত ১৫ এপ্রিল শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মিজানের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার এসআই সুধিন চন্দ্র দাস অভিযান চালিয়ে মিজানকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এদিকে আঙ্গুরা খাতুনের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য গত সোমবার হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন জানান, মামলা রুজু হয়েছে। আঙ্গুরাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।