ছনি চৌধুরী \ নবীগঞ্জ উপজেলার একটি প্রাইমারি স্কুলে শি¶ক থাকা সত্তে¡ও ক্লাস চলে ঐ স্কুলের দপ্তরীর কাজে নিয়োজিত কেরানি দ্বারা। এমন অবস্থায় বিদ্যালয়ের পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের সদরঘাট গ্রামের ভড়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় শি¶কদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে। শি¶কদের তালিকায় ৯ জন থাকলেও প্রায় ৬ বছর যাবৎ একজন রযেছেন ডেপুটেশনে ৪ জন শি¶ক দিয়ে চলছে এই বিদ্যালয়। কিন্তু প্রতিদিন ২/৩ জন শি¶ক দিয়ে চলে ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়া। এমতাঅবস্থায় ওইস্কুলে শি¶া ব্যবস্থা দিন দিন ব্যাহত হচ্ছে যার ফলে পড়ালেখার দিক থেকে পিছিয়ে পড়ছে কোমলমতি শি¶ার্থীরা। ভড়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যায়ের সময়সূচী বোর্ডে শনিবার-বুধবার ৯.৩০ মিনিট থেকে ৪.১৫ মিনিট এবং বৃহস্পতিবার ৯.৩০ থেকে ২.৩০ মিনিট পর্যš— নিয়ম লিখা থাকলেও শি¶করা স্কুলে আসেন প্রায় প্রতিদিনই ১১টার পর এবং চলে যান ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে। ১৭ জুন দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ভড়ারী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরীক কাজে নিয়াজিত রিপন মিয়া ছাড়া অত্র বিদ্যালয়ে কর্মরত কোনো শি¶ককে পাওয়া যায়নি। অফিস ক¶ বন্ধ, ছাত্র-ছাত্রীরা বাইরে ¯^াধীন ভাবে ঘুরাঘুরি করছে । দপ্তরীক কাজে নিয়াজিত রিপন মিয়া’র সাথে কথা বলে জানা যায়, একজন শি¶িকা ১১টার দিকে এসেছিলেন আবার ১টার দিকে চলে গেছেন। অফিস বন্ধ কেন এমন প্রশ্নের জবাবে রিপন জানায়, অফিস বন্ধ করে আমি একেক ক্লাসের একেক র“মে গিয়ে ছাত্রদের কন্ট্রোল করি, তারপরও একা কিভাবে সামাল দেব। সে আরো জানায় শি¶র্থীদের উপস্থিতি দিন দিন কমে যাচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শি¶করা যেদিন স্কুলে আসেন সেইদিন অফিসে বসে মনের সুখে পান-সুপারি খেয়ে খেয়ে সময় পার করে দেন। ক্লাসের বা ছাত্র-ছাত্রীর কোনো খোঁজ-খবর রাখেন না কেউ। এ ব্যাপারে স্থানীয়দের সাথে আপালকালে জানাযায়, স্কুল ম্যানেজিং কমিটির নেতৃবৃন্দ সচেতন হলে আজ এমন অবস্থা হতোনা। প্রায় দেড়-বছর ধরে ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ উর্ত্তিণ হয়ে গেছে কিন্তু আজও পর্যš— নতুন কমিটি হচ্ছে না। তাই বিদ্যালয়ের কার্যক্রম নিয়ে কারো ব্যাথা নেই। এব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজিনা সরোয়ারের সাথে যোগাযো করা হলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখন আমি অবগত হয়েছি, অবশ্যই অল্প কিছুুদিনের মধ্যে বিদ্যালয় পরিদর্শন করবো এবং তিনি বিদ্যালয়ের কার্যকরী সকল সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আশ^াস প্রদান করেন।