স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সর দুই কর্মচারির মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ঠ তদন্ত কমিঠি গঠন করেছেন হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন। টিএইচও ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনার খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার এসআই সামছুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সহকারীর নামে সরকারি ভাবে একটি করে ট্যাব বরাদ্দ দেয়া হয়। স্যানেটারী ইন্সপেক্টর ট্রেনিংয়ে থাকায় স্বাস্থ্য সহকারী মতক্কির মিয়া নির্ধারিত সময়ে তার বরাদ্দকৃত ট্যাব নিতে পারেননি। সম্প্রতি ট্রেনিং শেষ করে হাসপাতালে যোগদান করে তার উক্ত ট্যাব নেয়ার জন্য হাসপাতালের ষ্টোর কিপার আব্দুল জলিল এর কাছে ট্যাবটি চাইলে আব্দুল জলিল এনিয়ে নানান টালবাহানা করেন। এর কারণ জানতে চাইলে ষ্টোর কিপার আব্দুল জলিল জানান ট্যাব আনতে অনেক টাকা খরচ হয়েছে মর্মে ১ হাজার টাকা দাবি করেন স্বাস্থ্য সহকারির নিকট। এনিয়ে গত বুধবার দুই জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তাদের দুইজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় উপস্থিত লোকজন এবং সহকর্মীরা এসে মতক্কির মিয়াকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জরুরী বিভাগে চিকিৎসা করান। চিকিৎসা শেষে মতক্কির মিয়া টিএইচও ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের নিকট বিচার প্রার্থী হন। তখন টিএইচও ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম ঘটনাটি নিস্পত্তির বিষয়ে কোন উদ্যোগ না নেয়ায় সহকর্মীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে এঘটনার বিচার না পাওয়ায় স্বাস্থ্য সহকারী এসোসিয়েশন টিএইচও ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলেন। তারা হবিগঞ্জের সিভিল সার্জন এর নিকট বিচার প্রার্থী হলে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্রেক্সের আরএমও ডাঃ ইফতেখার হোসেনকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ঠ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন।