হবিগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ বাহুবল উপজেলার নতুন বাজার এলাকায় প্রাণ কোম্পানীর নারী শ্রমিক ধর্ষনের ঘটনা নিয়ে ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ওই ধর্ষর্তিা এক সন্তানের
জননী সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি সহ লোকজনের কাছে একেক বার একেক ধরণের তথ্য দিচ্ছে। অসংলগ্ন কথাবার্তা এবং তার মা-ভাই বা নিকটাত্মীয় কেউ হাসপাতালে না আসায় প্রকৃত ঘটনা নিয়ে রহস্যের দানা বেধেছে। গতকাল বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত হাসপাতালে অবস্থানকালে দেখা গেছে ওই নারীর কাছে বসে অসংখ্য যুবককে খোশ গল্প করতে। বাহুবল উপজেলার লামাতাসি ইউনিয়নের শিমুলিয়াম গ্রামের খাইরুন্নেছা (২৮) নামে ওই নারীর কাছে তার মা ভাই বা নিকটতাত্মীয় না আসার কারণ জানতে চাইলে সে বলে “ তারার প্রয়োজন নাই, আমার মা আগে আমাকে বিয়ে দিয়েছিল, আর এখন আমি বিয়ে করব নিজে, সার্টিফিকেট পাইলেই চলে যাব চেয়ারম্যান সাবের কাছে”। তখন আব্দুল আহাদ নামের ত্রিরিশোর্ধ এক যুবক বসা ছিল তার কাছাকাছি। এসময় ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে ধর্ষিতা জানায়, গত রবিবার নোমান নামের এক যুবক তাকে নতুন বাজার একটি ব্রিকফিল্ডে নিয়ে যায়। সেখানে ৫ যুবক মিলে তাকে ধর্ষন করে। তাদের মাঝে রুমন, মাহবুব, হিরণের নাম উল্লেখ করলেও বাকী দুইজনের নাম বলতে চায়নি। জানায় সময় হলে বলবে। তবে ঘটনাস্থলে তার কথিত প্রেমিক জাহাঙ্গীর উপস্থিত ছিল না বলে জানায়। এমনকি উল্লেখিতদের বয়সেরও কোন সঠিক তথ্য জানাতে পারেনি উক্ত  নারী। এদিকে, নতুন বাজারে গিয়ে কয়েকজন ব্যবসায়ীসহ লোকজনের সাথে আলাপ করে জানা যায়, ওই নারীকে সপ্তাহ যাবৎ প্রায়দিনই  নতুন বাজারে ঘুরতে দেখেছেন অনেকেই। মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকেও ওই নারীকে পায়ে হেটে শাহজালাল হাইস্কুলের পূর্বের রাস্তা দিয়ে যেতে দেখেছেন লোকজন। যদিও সে এ তথ্য প্রকাশ করতে নারাজ। অপরদিকে, এঘটনা নিয়ে নতুন বাজার ও অলিপুর এলাকার কতিপয় লোক ধর্ষিতার আপনজন না হলেও তাকে নিজেদের কব্জায় নেয়ার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর মূলত তারাই একেকবার একেক জনের নাম বলতে বাধ্য করছে তাকে। এ অবস্থায় পুরো বিষয়টি নিয়েই ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ঘটনাটি রবিবার রাতে সংঘটিত হয়ে থাকলেও সোমবার থেকে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত প্রকাশ পায়নি।  ওইদিন বেলা দেড়টার দিকে কে বা কারা ধর্ষিতাকে ভাদেশ্বর ইউনিয়ন অফিসে নিয়ে গিয়েছিল এ নিয়েও প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। আর এরপরই চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান বশির ডাক্তারী পরিক্ষার জন্য মহিলা সদস্য বিনতি বালার মাধ্যমে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন। গতকাল বুধবার দুপুরে খাইরুন্নেছার ডাক্তারী পরিক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। রাতে এ রিপোর্ট লেখকালে জানা গেছে, পাশ্ববর্তী অলিপুর গ্রামের আব্দুল আহাদ ধর্ষিতাকে সাথে করে নিয়ে গেছে।