জুয়েল চৌধুরী ॥ আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামে লুবনা আক্তার (২৫) নামের দুই সস্তানের জননীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে তার পিতা বলছেন তার কন্যাকে হত্যা করা হয়েছে। এদিকে মৃত্যুর পর হাসপাতালে লাশ ফেলে স্বামী সটকে পড়ায় সন্দেহের তীর ঘর্নীভূত হচ্ছে। গতকাল সোমবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে লুবনা হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। লুবনার পিতা ইদ্রিস মিয়া জানান, একই গ্রামের আব্দুস সোবহানের পুত্র মকবুল হোসেন (৩০) এর সাথে ৫ বছর আগে লুবনাকে বিয়ে দেয়া হয়। বিয়ের সময় যথাসাধ্য উপহার সামগ্রী দেয়া হয়। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই ছেলে সন্তান হয়। মকবুল হোসেন প্রায়ই লুবনাকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করতো। মাঝে মাঝে লুবনা নির্যাতনের বিষয়টি তার পিতাকে জানাতো। গতকাল সোমবার সকালে লুবনাকে আবারো নির্যাতন করা হয়। পরে সে বিষপান করে ছটফট করতে থাকলে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে তার স্বামী মকবুল। বিকাল সাড়ে ৪টায় সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ সাইফুর রহমান সোহাগ লুবনাকে মৃত ঘোষণা করেন। লূবনার মৃত্যুর খবর শুনে তার পিতা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন। রাতে সদর থানার এসআই মফিদুল ইসলাম ও কনস্টেবল লিলি আক্তার লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।