জুয়েল চৌধুরী ॥ লাখাই উপজেলার তেঘরিয়া গ্রামে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করেছে এক লম্পট। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা। এ ঘটনায় ওই যুবতীর মামা মেম্বার বাহার মিয়া বাদি হয়ে লাখাই থানায় মামলা দায়ের করেন। জানা যায়, ওই গ্রামের শাহ আহমদ মিয়ার যুবতী কন্যার সাথে একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র ইমন মিয়া (২০) এর প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এক পর্যায়ে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয় এবং তাদের মেলামেশায় বাঁধা দেয়া হয়। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে ওই যুবতীকে ইমন মিয়া বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই বাড়ি এক মহিলা দেখে ফেললে বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ইমন ও তার সহযোগি হৃদয় (১৪) পালিয়ে যায়। পরে ওই যুবতী বিষয়টি তার পরিবারের লোকজনকে জানালে তার মামা মেম্বার বাহার মিয়া কিশোর হৃদয়কে আটক করে উত্তম মধ্যম দিয়ে লাখাই থানায় সোপর্দ করেন। হৃদয় ওই গ্রামের আব্দুল আলীর পুত্র। পুলিশ জানায়, হৃদয়কে গতকাল শুক্রবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করে এবং প্রধান আসামী লম্পট ইমনকে ধরতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েছে এবং যুবতীর ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য আজ শনিবার হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।