জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ শহরে গরু বাজারে কিশোরী ধর্ষনের ঘটনায় মামলা করতে গিয়ে বাদি পুলিশের খাচায় বন্দি হয়েছে। এদিকে সংবাদ প্রকাশের পর লম্পট রুবেল ও তার ভাই জুয়েলকে আটক করেছে পুলিশ।  ধর্ষিতা কিশোরী গত শুক্রবার বিকালে সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এ সংবাদ গতকাল শনিবার হবিগঞ্জের স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ হলে প্রশাসনের মধ্যে তোলপার সৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার সকালে সদর থানার এসআই আব্দুল মুকিত চৌধুরীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কামড়াপুর খোয়াই নদীর বাধ থেকে লম্পট রুবেল ও তার বড় ভাই জুয়েলকে আটক করে থানায় এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। আটকৃতরা হলেন, ওই এলাকার লেচু মিয়ার পুত্র। পুলিশের সন্দেহ হয় তখন ওই ধর্ষিতা কিশোরীরর মা ওই এলাকার কাউছার মিয়ার স্ত্রী আয়মনা বেগমকে অভিযোগ দিতে বললে আয়মনা বেগম থানায় অভিযোগ দিতে আসলে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রমান হয় এটি আসলে ধর্ষণ নয়, ধর্ষণের নাটক মাত্র। পরে ওই কিশোরীর মাকে আটক করা হয়। এদিকে ওই কিশোরীর ডাক্তারী পরিক্ষা শেষে ধর্ষণের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। এদিকে কিশোরীর মা পুলিশের কাছে স্বীকার করে রুবেলের সাথে তার মেয়ের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু বিয়ে দেয়ার জন্য এ ধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে। এ ব্যাপারে আব্দুল মুকিত চৌধুরী জানান, বিষয়টি সমাধান হলে মোচলেখা রেখে ছেড়ে দেয়া হবে নতুবা পুলিশকে ভূল তথ্য দিয়ে বিভ্রান্ত করার জন্য বাদি বিবাদি উভয়কেই কোর্টে প্রেরণ করা হবে। এদিকে সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায় ভিকটিম সাকিরুন বেগম (১৫) পুলিশের ভয়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে।ৃ