মোঃ আক্তার হোসেন : শায়েস্তাগঞ্জ বিরামচর ভূমি অফিসের তহসিলদার রেজাউল করিম বাদল এবং তার সহকর্মীদের কে মারপিট করার অভিযোগে পুলিশের হাতে আটক বিএনপি নেতা ও তার ভাইয়ের জামিন না মঞ্জুর করেছেন আদালত। গতকাল বুধবার দুপুরে শায়েস্তাগঞ্জ থানা পুলিশ তাদেরকে হবিগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আসমা বেগমের আদালতে সোপর্দ করলে তাদের পক্ষে জামিনের আবেদন করেন। পরে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরনের নির্দেশ দেন। গত মঙ্গলবার রাত ১২ টায় দাউদনগর গ্রামের তাদের বাসায় শায়েস্তাগঞ্জ থানার ওসি আনিছুজ্জামানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মৃত সৈয়দ নজিবুর রহমানের পুত্র হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এবং সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ অলিউর রহমান ও তার ভাই সৈয়দ শফিকুর রহমান। আহত তহসিলদার রেজাউল করিম বাদল জানান, গত মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় বিএনপি নেতা অলিউর রহমান ভূমি অফিসে গিয়ে অন্যায়ভাবে নামজারি করার জন্য তহসিলদার বাদলের ওপর চাপ দেন। এতে অপরাগতা জানালে অলিউর রহমান স্থানীয় কয়েকজন যুবককে নিয়ে তার উপর ও সহকর্মীদের মারপিট করেন। এ সময় অফিসও ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। এসময় তাদের হামলায় রোজাউল করিম বাদল, অফিস কর্মকারী ফরিদ মিয়া, জাকির হোসেন, দিলীপ কুমার আহত হন। তাদেরকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতারে চিকিৎসা দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পৌর মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি শান্ত করেন। এসময় দুর্বৃত্তরা সটকে পড়েন। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার রাতে বাদল বাদী হয়ে অলিউর রহমান, শফিকুর রহমান, সৈয়দ রাসেল, সৈয়দ রিমেল ও সৈয়দ মোঃ রিপন মিয়াসহ অজ্ঞাত আরও ৩/৪ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে শায়েস্তাগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। রাতেই সৈয়দ অলিউর রহমান ও তার ভাই সৈয়দ শফিকুর রহমানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি আরও জানান, সৈয়দ অলিউর রহমান ৫০৪০ নং দাগের খাজনা নেওয়ার জন্য তার ওপর চাপ দেন। ওই দাগটি সরকারি অধিগ্রহণভুক্ত হওয়ায় তিনি খাজনা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন। এ সময় তাদের মারপিট করা হয়। এক পর্যায়ে তাকে গুলি করে হত্যারও হুমকি দেওয়া হয়। বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে অফিসের নির্দেশে তিনি মামলা দায়ের করেন। শায়েস্তাগঞ্জ থানার (ওসি) জানান, মামালা পরপরই দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্যদেরকে ধরতেও পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।