মোঃ সুমন আলী খাঁন ॥ মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন ও আদর্শ নতুন  প্রজন্ম এবং শিক্ষার্থীদের জানানোর জন্য ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ। এরই প্রেক্ষিতে চলতি মাসেই হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপন করা হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’। ইতিমধ্যে ওই উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নে অবস্থিত বড় শাখোয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উদ্বোধন করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’। এমন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি সমাজের অনেকেই। সুত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলার ১৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলতি মাসেই ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার' স্থাপন করার নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। এ কর্নারে স্থান পেয়েছে  মহান মুক্তিযুদ্ধের স্থিরচিত্র, তথ্য ও ইতিহাস। উঠে এসেছে বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতার দৃশ্যপট। এতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে বাঙালির বীরত্বগাথা গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস জানার আগ্রহ বেড়েছে। এতে তারা বেশ খুশি। তাদের পর উপজেলার নবীগঞ্জ আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার’ ও শিশু পাঠাগার স্থাপনের প্রস্থতি নিচ্ছেন। এটি ও উদ্বোধন হবে। এছাড়া গত বুধবার দুপুরে উপজেলার বড় শাখোয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্ণার উদ্বোধন করেন উপজেলা প্র্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রঞ্চানন কুমার সাহা।

[caption id="attachment_38235" align="alignnone" width="1024"] বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানাতে নবীগঞ্জের বিদ্যালয়গুলোতে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার[/caption]

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুবেল মিয়া, নবীগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ এর নবীগঞ্জ প্রতিনিধি শাহ সুলতান আহমেদ, নবীগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক হবিগঞ্জ সময় পত্রিকার বার্তা সম্পাদক মতিউর রহমান মুন্না, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি ডাঃ কিরণ সূত্র ধর, দৈনিক সিলেটের দিনকালের নবীগঞ্জ প্রতিনিধি মোঃ সুমন আলী খাঁনসহ অনেকেই। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার সম্পর্কে ওই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মোছাঃ রাশেদা বেগম বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গড়ে উঠতে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এটি খুবই সহায়ক হবে। এমন উদ্যোগে অনুপ্রাণিত হয়ে নবীগঞ্জ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাহ সুলতান আহমেদ বলেন, দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ কর্ণার স্থাপন করা খুবই জরুরী। কারণ বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্নার থেকে সঠিক ইতিহাস জেনে, প্রজন্মরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়  তারা দেশপ্রেমে আরো অগ্রসর হবে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ রুবেল মিয়া বলেন, পাঠ্য বইয়ের বাহিরে এই বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ কর্ণার থেকে শিক্ষার্থীরা সঠিক ইতিহাস জানতে পারবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শৈশব, কৈশোর, রাজনৈতিক তথা সমগ্র জীবন ও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মকে ধারণা দিতেই বঙ্গবন্ধু কর্ণার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। উপজেলা প্র্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা প্রঞ্চানন কুমার সাহা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সংগ্রামী ইতিহাস ও বঙ্গবন্ধুর জীবন আদর্শ ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে এবং আগামী ৩১ জানুয়ারীর মধ্যে নবীগঞ্জ উপজেলার ১৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ কর্নার স্থাপন করা হবে বলেন তিনি।