স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ খোয়াই নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধের কামড়াপুর পয়েন্ট পরিদর্শন করেছেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব কবীর বিন আনোয়ার। গতকাল সকাল ৯টায় প্রবল বৃষ্টির মধ্যে বাঁধ পরিদর্শনকালে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ সচিবকে বাঁধ সংস্কারের চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন। এ সময় সচিব কামড়াপুর ব্রীজ থেকে পুরান বাজার পয়েন্ট পর্যন্ত পুরো বাঁধেই জিও ব্যাগ বিছানো ও বাঁধে কাটা তারের বেড়া দেয়ার নির্দেশ দেন। এতে করে ঝুর্কিপুর্ণ আরো ৪২ মিটার বাঁধ সংস্কার হবে। জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের আন্তরিক প্রচেষ্টায় পানি সম্পদ সচিব আকস্মিক বাঁধ পরিদর্শনে আসেন এবং তাৎক্ষণিক ৪২ মিটার বাঁধ সংস্কারের বরাদ্দ দেন। ইতিপূর্বে কামড়াপুর থেকে পুরান বাজার পর্যন্ত জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদের প্রচেষ্টায় আরো প্রায় ১৪০ মিটার বাঁধের সংস্কার কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। এতে মোট ১১ হাজার জিও ব্যাগ ঝুর্কিপুর্ণ শহর প্রতিরক্ষা বাঁধে বিছানো হয়। নতুন ৪২ মিটারে  আরো প্রায় ৪ হাজার জিও ব্যাগ বিছানো হবে। পরিদর্শনকালে পানি সম্পদ সচিব কবীর বিন আনোয়ার বলেন, শিঘ্রই খোয়াই নদীর বাঁধ সংস্কারের কাজ শেষ করা হবে। অর্থ বরাদ্দ কোন সমস্যা নয়, নদীর বাঁধ রক্ষায় প্রয়োজনীয় সব কিছুই করা হবে। তিনি বলেন, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ খোয়াই নদীর শহর প্রতিরক্ষা বাঁধের ঝুঁকির বিষয়ে সব সময় আমার সাথে যোগাযোগ রেখেছেন। তাঁর কাছ থেকে খোয়াই প্রতিরক্ষা বাঁধের বিষয়ে অবহিত হয়ে প্রাকৃতিক এ দূর্যোগের মধ্যেও সরেজমিনে বাঁধ পরিদর্শনে এসেছি। তিনি সংস্কার পরবর্তী বাঁধের সৌন্দর্য্য বর্ধনেও ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান। এ সময় জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা খোয়াই বাঁধের উপর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও উচ্ছেদ পরবর্তী কার্যক্রম সম্পর্কে সচিবকে অবহিত করেন। পরিদর্শনকালে অন্যন্যের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ডের চীফ ইঞ্জিনিয়ার নিজামুল হক ভূইয়া, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক ফজলুল জাহিদ পাভেল, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তাওহিদুল ইসলাম, উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহন লাল সৈকত ও হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ নাহিজ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।