সময় ডেস্ক ॥ শিয়া সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুষ্ঠান পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীতে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে মহানগর পুলিশ। তবে তাজিয়া শোক মিছিলে কোনো 'পাইক' (যারা অস্ত্র নিয়ে নিজের শরীর রক্তাক্ত করেন) অংশ নিতে পারবেন না। বহন করা যাবে না কোনো ধারালো অস্ত্র, ধাতব অস্ত্র বা দাহ্য পদার্থ। বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে এক সমন্বয় সভায় এ কথা জানান ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারের সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ শিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সভা সূত্র জানায়, আগামী ৭ সেপ্টেম্বর দুপুর ২টায় আঞ্জুমানে হায়দারীর আয়োজনে হোসেনী দালান ইমামবাড়া থেকে শোক মিছিলের মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে পবিত্র আশুরা উদযাপন। এ ছাড়াও বিভিন্ন অনুষ্ঠান-কর্মসূচি পালনের মাধ্যমে ১০ সেপ্টেম্বর আশুরা পালন শেষ হবে। এসব আয়োজনের নিরাপত্তার বিষয়ে বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন ঢাকার পুলিশপ্রধান। আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, 'শোক মিছিলের নির্ধারিত রুট ও সময়সীমা মেনে চলতে হবে। মিছিলে কোনো 'পাইক' যেন অংশ নিতে না পারে সে বিষয়টি আয়োজক সংস্থা নিশ্চিত করবে। অংশগ্রহণকারীদের নিশানের উচ্চতা ১২ ফুটের বেশি হওয়া যাবে না, সব অনুষ্ঠান ঘিরে আয়োজক সংস্থা পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করবে। পর্যাপ্ত পরিচয়পত্রসহ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ছবিসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট উপ-পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পাঠাবে আয়োজক সংস্থা। ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, মিছিলে সব ধরনের ধারালো অস্ত্র, ধাতব পদার্থ, দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, পোটলা, লাঠি, ছুরি, চাকু, তরবারি, বর্শা, বল্লম ও আতশবাজি ব্যবহার নিষিদ্ধ। পোশাকের সঙ্গেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না। মিছিল চলাকালে বিভিন্ন অলিগলি থেকে আসা লোকদের মিছিলে ঢুকতে দেওয়া হবে না। অনুষ্ঠানে কাউকে চাদর গায়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। মিছিলে ঢাকঢোল, বাদ্যযন্ত্র, পিএ সেট ব্যবহার করা যাবে না। মিছিল শুরুর স্থানে প্রবেশের আগে সবাইকে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও হাত দিয়ে দেহতল্লাশি করা হবে। শিয়া সম্প্রদায়ের প্রতিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে, সমবেত হওয়ার স্থানে ও এর আশপাশের এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখতে হবে। সন্ধ্যার মধ্যে শেষ করতে হবে সব অনুষ্ঠান।