শাহ সুলতান আহমেদ ॥ সৌদি আরবে সড়ক দূর্ঘনায় নিহত নবীগঞ্জের আফিয়া বেগমের ক্ষতিপূরনের ৩৬ লক্ষ টাকা পায়নি তার পরিবারের ও স্বজনেরা। এমনকি এটাকা কোন হদিস পাচ্ছেন না তারা। এনিয়ে অভিযুক্ত আত্মসাতকারীদের রোশানলে পড়েছে নিহত হত দরিদ্র আফিয়ার পরিবার। তারা এ ব্যাপারে গত সোমবার রাতে নবীগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। জানাযায়, নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের শতক কামারগাঁও গ্রামের মোঃ আলতাব আলীর কন্যা আফিয়া বেগমকে বিগত ২০১৭ সালে আদম ব্যবসায়ী আব্দুল কাইয়ূম সেলিমের মাধ্যমে সৌদি আরবে পাঠানো হয়। এর পর প্রায় ৩ মাসের মাথায় ২০১৭ সালের ১১ নভেম্বর আফিয়া বেগম সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘনায় মারা যায়। মারা যাওয়ার পর সেখানে আদালতে মামলা হয়। ওই আদালতে তাকে ৩ লক্ষ রিয়াল ক্ষতিপূরন দেয়ার রায় হয়। কিন্ত তার কোন আত্বীয় স্বজন না থাকায় এ ক্ষতিপূরন পাচ্ছিছিলেন না। এক পর্যায়ে তাদের এলাকার কায়স্থগ্রামের সৌদি প্রবাসী আব্দুল কাদির শামীমকে আফিয়ার ভাই আব্দুল খালিক হবিগঞ্জ কোর্টের মাধ্যমে এফিডেভিট করে ক্ষতিপূরনের টাকা উত্তোলনের দায়িত্ব প্রদান করেন। আব্দুল কাদির শামীম এফিডেভিটের মাধ্যমে মতা পেয়ে সৌদির আরবের আদালত থেকে আফিয়ার ক্ষতিপূরন বাবদ  দেড় লক্ষ রিয়াল উত্তোলন করেন। সৌদির রিয়াল হিসার মতে বাংলার প্রায় ৩৬ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। কিন্তু আফিয়ার পরিবারকে কোন টাকা না দিয়ে আব্দুল কাদির শামীম সৌদি আরব ছেড়ে  পর্তুগালে চলে যায়। বিষয়ে তার গ্রামের বাড়িতে বিচার প্রার্থী হলে তার ভাই আব্দুল কাইয়ূম সেলিম, তার পুত্র বাবু মিয়া আব্দুল কাদির শামীমের পুত্র ফাহিম এবং আব্দুর রউফের পুত্র হাসান আলী তারা নানা রকম হুমকি দিয়ে এ বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি না করার জন্য বাড়িতে এসে হুমকি দিয়ে যায়। অবশেষে তারা অসহায় হয়ে নবীগঞ্জ থানায় জিডি এন্ডি করেন। এ ব্যাপারে আফিয়ার ভাই আব্দুল খালিক বলেন, আমার বোনকে আব্দুল কাইয়ূম সেলিম বিদেশে পাঠায়। পরে তার ভাইয়ের মাধ্যমে ক্ষতিপূরন তুলে সম্পূর্ন টাকা আত্বসাৎ করেছে। আমাকে তারা এখন এলাকা ছাড়া করার জন্য হুমকি দিয়েছে। আমি অসহায় পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। বোনের ১ ছেলে ২ মেয়ে মানুষের বাড়ি কাজ করে খায় আর তাদের মায়ের টাকায় বড় লোক হয়েছে সেলিম। এ ব্যাপারে আব্দুল কাইয়ূম সেলিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি কোন টাকা আত্মসাত করি নাই। আমার ভাই টাকা তুলেছে প্রমান দিতে পারলে আমি সম্পূর্ন টাকা দিয়ে দিবো। এটা আমার বিরুদ্ধে অপ-প্রচার করা হচ্ছে।