সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের মুক্তাহার গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের  রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। সংঘর্ষে খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। সংঘর্ষে দুইপক্ষের নেতৃত্বদানকারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শৈলেন চন্দ্র দাশ ও শিক্ষানবীশ আইনজীবি রতœদীপ দাশ রাজুকে থানায় নিয়ে আসলে বিষয়টি শালিস বৈঠকে নিস্পত্তির প্রক্রিয়া করা হয়েছে। আহত ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উল্লেখিত গ্রামের রতœদীপ দাশ রাজু ও শৈলেন চন্দ্র দাশের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিরোধ চলে আসছিল। এনিয়ে একাধিকবার উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এরই জের ধরে গতকাল বৃহস্পতিবার ১০ অক্টোবর সকালে উভয়পক্ষ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। উক্ত সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হন। আহতরা হলেন, নিশী দাশ (৬৫), অনুপ দাশ (৩০), অনন্ত দাশ (৩২), বিধান দাশ (৫২), জুয়েল দাশ (২৫), কৃপাসিন্ধু দাশ (৪৫), আসীম দাশ (২৩), অসীম চন্দ্র (৩৪), ফুলবাসী দাশ (৫৫), রামু দাশ (২৮), উৎফল দাশ (৫০), রতিন্দ্র দাশ (২৮), মল্লিকা দাশ (৩০), সবিনয় দাশ (৩৫), কুলন্ড দাশ (৭০), অনিক দাশ (১৬), মধু দাশ (৪৫), দিনবন্ধু দাশ (৩৯), অপু দাশ (৩৫), সুমন দাশ (২৮). নারায়ন দাশ (৩২), বিটু দাশ (২৮)। এদের মধ্যে নিশী দাশ, অনুপ দাশ, অনন্ত দাশ, বিধান দাশ, জুয়েল দাশ, কৃপাসিন্ধু দাশ, সুধিন দাশ, আশিষ দাশ, অসিম দাশ, অসীম চন্দ্র দাশ, রামু দাশ, উৎফল দাশ, সুমন দাশ, নারায়ন দাশ ও সবিনয় দাশকে আশংকাজনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অপর আহতদের বিভিন্ন ক্লিনিকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নবীগঞ্জ থানার এস.আই সামছুল ইসলাম জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করি এবং দুইপক্ষের নেতৃত্বে থাকা দুইজনকে আটক করেছি এবং শালিস বৈঠকে নিস্পত্তির শর্তে ছেড়ে দিয়েছি।