স্টাফ রিপোর্টার:: নবীগঞ্জ উপজেলার দিনারপুর মৌজার গজনাইপুর ইউনিয়নের মামদপুর গ্রামে দুরুদ মিয়া (৫৫) নামে এক ব্যক্তিকে গাছের সাথে বেঁধে বেধরক মারধোর ও কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেছে একই গ্রামের চান মিয়া ও তার লোকজন। শ্বশুর দুরুদ মিয়াকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে হামলার শিকার হন দুরুদ মিয়ার জামাতা বাবুল মিয়া (২৭)। গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাদেরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে দুরুদ মিয়ার স্ত্রী মালা বেগম বাদী হয়ে ১০ জন আসামী করে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। স্থানীয় ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের মামদপুর গ্রামের বাসিন্দা দুরুদ মিয়ার সাথে চাঁন মিয়ার বিরোধ চলে আসছিল। গত ২০ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যায় দুরুদ মিয়া স্থানীয় বিয়ানীবাজারস্থ মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে বাড়ির নিকটে পৌঁঁছামাত্রই চাঁন মিয়ার নেতৃত্বে তার ছেলে ছমদ মিয়া ও ওয়াহিদ মিয়াসহ ৮/১০ জনলোক দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে দুরুদ মিয়ার উপর এলোপাতাড়ি হামলা চালায় এবং পরে দুরুদ মিয়াকে গাছের সাথে বেঁধে লাঠিসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে তাকে। এক পর্যায়ে দাড়ালো দা দিয়ে দুরুদ মিয়াকে কুপিয়ে ক্ষতবিক্ষত করে চান মিয়ার লোকজন। দুরুদ মিয়াকে বাচাঁতে তার মেয়ের জামাতা বাবুল মিয়া এগিয়ে আসলে চান মিয়ার লোকজন বাবুলের উপর হামলা চালিয়ে বেধরক মারধোর করতে থাকে। এক পর্যায়ে তাদের আত্ম-চিৎকারের স্থানীয় লোকজন এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রæত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে রক্তাক্ত দুরুদ মিয়া ও বাবুল মিয়াকে উদ্ধার করে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশংকাজনক দেখে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আহতদের অবস্থা গুরুত্বর বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় সোমবার বিকেলে দুরুদ মিয়ার স্ত্রী মালা বেগম বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আজিজুর রহমানের সাথে করা হলে তিনি বলেন, গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন ও কোপানোর ঘটনায় নবীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি রেকর্ডভুক্ত করে জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।