জুয়েল চৌধুরী, হবিগঞ্জ থেকে:: নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়াভাঙ্গা ইউনিয়নের কইরাওই গ্রামে দেবিকা রানী সরকার (১৫) নামে এক অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তবে এ মৃত্যু নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানান রহস্য। তার পড়নের জামার ভেতর থেকে তার নিজ হাতের লেখা চিরকুট উদ্ধার করেছে তার পরিবারের সদস্য। ঘটনার পর থেকে একই গ্রামের শ্রিবাস সরকারের পুত্র সিএনজি চালক সন্তোষ সরকার (২০) পালিয়ে গেছে। এ দিকে নিহতের পিতা সদর হাসপাতালে কন্যার লাশের পাশে আহাজারী করে জানান, তার মেয়ে ইমামবাড়ীস্থ রাজরানী শুভাসীনি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্ঠম শ্রেণীর মেধাবী ছাত্রী ছিল। গত ১ বছর ধরে সন্তোষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। বিভিন্ন সময় সন্তোষের সাথে তার মেয়ের নানা বিষয় নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দিলে সে কান্না-কাটি করত কয়েকদিন ধরে খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দিয়ে হতাশায় ভুগছিল। গতকাল মঙ্গলবার দুুপুরে ঘরের তীরের সাথে দিপিকার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে নামিয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে দীর্ঘক্ষণ পরিক্ষার পর কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এদিকে, ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে আসার পথে তার জামার ভিতর তার নিজ হাতে লেখা একটি চিরকুট দেখতে পান স্বজনরা। এতে স্পষ্ট উল্লেখ করা আছে, ‘আমার নাম ঃ দেবীকা। আমি সন্তোষ নামে একটি ছেলের সাথে প্রেমে পড়েছিলাম। ও আমাকে প্রথম বলেছিল আমাকে বিয়ে করবে, এ কথা বলে আমার সাথে শারিরিক সম্পর্ক গড়ে তুলে। এখন আমাকে ও বিয়ে করতে রাজি হয় না। ও আমার নামে অনেক বদনাম তুলছে। ওর ভাইয়ের বউদি আমাকে খুব নির্যাতন করেছে। অনেক কিছু গালি দিয়েছে। আমাকে খুব নির্যাতন করেছে। অনেক কিছু গালি দিয়েছে। আমি আর জ¦ালা সইতে পারছি না। তাই আমি আত্মহত্যা পথ বেচে নিলাম’। খবর পেয়ে সদর থানার পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে মর্গে প্রেরন করেন। এদিকে ঘটনায় অভিযুক্ত রোমিও সন্তোষ সরকার এ প্রতিনিধিকে মোবাইল ফোনে বলেন, ‘আমি তাকে কখনো ভালবাসিনি, সে আমাকে ভালবাসতো। সে মারা গেলে আমার কিছুই করার নেই। পরে কথা বলব (বলে ফোন বন্ধ করে দেন)’। নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমান জানান, প্রেম গঠিত বিষয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে জানা গেছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।