সংবাদদাতা ॥ নবীগঞ্জে প্রেমিক মিটন মিয়ার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন প্রতারনার শিকার প্রেমিকা রুনা বেগম। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, নবীগঞ্জ পৌর এলাকার ছালামতপুর গ্রামের মৃত ছুরাব উল্লার পুত্র মিটন মিয়া একই গ্রামের মনির মিয়ার স্বামী পরিত্যক্তা মেয়ে রুনা বেগম এর সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষন করে মিটন মিয়া। এক পর্যায়ে প্রেমিকা রুনা বেগম গর্ভবতী হলে মিটনকে বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করলে কৌশলে সময় ক্ষেপন করেন সুচতুর মিটন এবং বিয়ের আগে তার গর্ভ নষ্ট করার প্রস্তাব দেয়। অন্যতায় বিয়ে করবেনা বলে হুমকী দেয় মিটন। বাধ্য হয়ে রুনা প্রেমিক মিটনের কথায় বিশ^াস করে প্রায় ৪ মাস পূর্বে শিবপাশা এলাকায় নমিতা দাসের বাসায় গিয়ে গর্ভ নষ্ট করায় মিটন। এরপর থেকেই মিটন মিয়া নানা টালবাহানা শুরু করে। এক পর্যায়ে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে প্রেমিকা রুনার সাথে দেখা করতে যায় প্রেমিক মিটন। বিয়ের আশ^াসে গোপন অভিশারে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে সায় দেয়নি রুনা। এ সময় মিটন মিয়া জোরপূর্বক রুনাকে ধর্ষনের চেষ্টা করে। রুনার সুরচিৎকারে বাবাসহ বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে তাকে আটক করে। পরে গ্রামের মুরুব্বীয়ান ও সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলরের শরনাপর্ণ হলে গ্রামের লোকজন প্রেমিক মিটনের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পেয়ে বিয়ে করতে চাপ দেয়। এ সময় মিটন মিয়া ও তার পরিবার বিয়ে করতে অসম্মতি জানিয়ে অর্থের বিনিময়ে দফারফা করার অনুরোধ করলে মুরুব্বীয়ানগণ তাতে সায় না দিয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই সামছুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ প্রেমিকার বাড়ি থেকে মিটন মিয়া (২৮) সহ প্রেমিকাকে থানায় নিয়ে আসেন। এক পর্যায়ে গতকাল দুপুরে প্রেমিকা রুবি বেগম বাদী হয়ে প্রেমিকার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা হয়েছে।