জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পশ্চিম এড়ালিয়া গ্রামে অনুফা আক্তার সোনাই (১৫) নামের এক অন্তস্বত্তা গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় স্বামী শাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম, সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী সহ একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মসজিদের পুকুর থেকে অনুফার লাশ উদ্ধার করেন। সে ওই গ্রামের সওদাগর মিয়ার কন্যা। এদিকে তার স্বামী বিলাল মিয়া নিজে বাঁচার জন্য নাটক সাজিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টাকালে স্থানীয় লোকজন তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। সে বর্তমানে সদর হাসপাতালে পুলিশ হেফাজতে চিকিৎসাধীন রয়েছে। মৃত অনুফার ভাই মামুন মিয়া জানায়, ৬ মাস আগে প্রেমের সম্পর্ক করে পরিবারের অমতে তার চাচাতো ভাই হাশিম মিয়ার পুত্র বিলাল মিয়া (১৬) তার বোন অনুফাকে বিয়ে করে। বিয়ের কাবিন করে তেঘরিয়া ইউনিয়নের কাজি মুফতি ফজলুল হক। এর কিছুদিন পর এ বিয়ে তারা মেনে নেন। বর্তমানে অনুফা ৫ মাসের অন্তস্বত্তা ছিল। প্রায়ই বিলাল ও তার পরিবারের লোকজন যৌতুকের জন্য মারপিট ও নির্যাতন করতো। বিষয়টি বরাবরই মামুন তার বাবাকে জানাতো। এ নিয়ে বিচারও হয়। কিন্তু বিল্লাল তা না মেনে নির্যাতন করতে থাকে। গত বুধবার রাতেও অনুফাকে মারধর করে। এরপর শ্বাসরোদ্ধ করে হত্যা করে পুকুরে ফেলে দেয়। সে নিজে বাঁচার জন্য আত্মহত্যার নাটক সাজায়। ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি পরিবারের জিম্মায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। স্বামী ও শ^াশুরিকে আটক করা হয়েছে। তাদের দেয়া তথ্য যাচাই চলছে। তবে কোনো মামলা হয়নি। মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।