সোয়েল আহমদ বলেন, পৃথিবীতে সব প্রাণীর বাঁচার অধিকার আছে। চলমান সংকটে সব চেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে মানুষের পাশাপাশি বসবাস করা কুকুর ও বিড়াল। আমি ১ মাসের খাবারের চেষ্টা করেছি। সংকট দূর না হওয়া পর্যন্ত এ কার্যক্ষম চলবে।
তিনি বলেন, এই সব কুকুর মুখ খুলে বলতে পারছে না খাবারের প্রয়োজন। এই সব প্রাণীকে মানুষের প্রয়োজনে বাঁচিয়ে রাখা দরকার। তাই আমি এদের খাবারের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রথম দিনে মনে হয়েছে পৌরসভার ভিতরে প্রায় ২০০ কুকুর আছে। যদি আরও কুকুর আসে তাদেরও খাবার দেব। এই সব কুকুর যদি খাবার না পায় সেটা মানুষের জন্যও হুমকি হবে। ক্ষুধার্ত কুকুর আক্রমণ করতে পারে।
সোয়েল আহমদ আরও বলেন, আমি শুনেছি বাংলাদেশে প্রায় ১২ লাখ কুকুর আছে। সবাইকে এদের পাশে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আলাদা খাবার দিতে না পারলেও অন্তত নিজের উচ্ছিষ্ট খাবার গুলো এদের দেন।
তিনি বলেন, মানুষও যেন অভুক্ত না থাকে। আমি আমার এলাকার ১০০ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি। প্রতিদিন রান্না করে বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দিচ্ছি। আমি মনে করি, আমি যাদের দিচ্ছি তাদের রান্না করার কাঠও ঘরে নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপার) জেলা কমিটির আহ্বায়ক আ স ম সালেহ সোহেল জানান, ধন্যবাদ জানাচ্ছি,এ সংকটের সময়ে এটা খুবই দরকার ছিল। মানুষের পাশাপাশি এদের বেঁচে থাকা দরকার। অন্যরাও এগিয়ে আসবেন বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।