প্রিন্ট এর তারিখঃ এপ্রিল ২৭, ২০২৪, ৫:৫৪ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ মে ১৫, ২০২০, ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে অধ্যয়নরত কারিগরি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে আবেদন
জাবেদ ইকবাল তালুকদার : টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে অধ্যয়নরত কারিগরি শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করণ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ সচিবালয়ে হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীবৃন্দের আবেদনপত্রটি দৈনিক হবিগঞ্জ সময়ের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল...
”আপনার অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়ে বাংলাদেশ সরকার ২০১৬ সাল হতে প্রায় সকল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে চালু করেছে ৪বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং। তদনুযায়ী উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলোতে অন লাইনে আবেদনের মাধ্যমে বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টে ভর্তি হয় মধ্যবিত্ত পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থী। কিন্তু ভর্তির পরবর্তী সময় থেকেই তারা বঞ্চিত হতে থাকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা থেকে। তবুও অবহেলিত এই শিক্ষার্থীরা আশায় আশায় এক পা-দুপা করে কৃতিত্বের সাথে এগুতে থাকে সামনের দিকে দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন দেখা সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে। এক পর্যায়ে (কোভিড -১৯) এই মহামারীতে গৃহ বন্দি হয় সকল শিক্ষার্থী। এই দূর্যোগময় সময়ে বর্তমান কারিগরি শিক্ষা বান্ধব সরকার সকল ডিপ্লোমাসহ কারিগরি শিক্ষার্থীদের মাঝে উপবৃত্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়। বই কেনার জন্য ১০০০ টাকা এবং মাসিক ৫০০ শত টাকা হারে উপবৃত্তি। কিন্তু এখানেও নৈরাশ্যের শেষ নেই অামাদের। কারণ কারিগরি অধিদপ্তর হতে যে চিঠি প্রদান করা হয়েছে সেখানে শুধু পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট এর কথা উল্লেখ্য রয়েছে। অথচ গত ৭ জানুয়ারী ২০২০ তারিখে একনেক সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয় দেশের সকল কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি দেয়ার। কিন্তুু কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করছে গত জুন-২০১৯ সনে সমাপ্ত STEP প্রকল্পের গ্রান্ড প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানকে, যা একনেক সভার সিদ্ধান্তের খেলাপ। যার ফলে টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি প্রাপ্ত হতে বাদ পড়ে যায়। কিন্তুু প্রতিষ্ঠান নির্বাচন ধারা ১৫.৪.২ অনুযায়ী সকল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ সমূহ উপবৃত্তির তালিকায় থাকার কথা। অথচ তা না করে কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্তায় এক চরম বৈষম্যতা সৃষ্টি করা হয়েছে। এর ফলে কারিগরি শিক্ষার হার বৃদ্ধি করার জন্য সরকারের আহবানে সারাদেয়া ৬৪টি সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ অধ্যয়নরত প্রায় ১২ হাজার শিক্ষার্থীসহ প্রায় অর্ধলক্ষাধিক কারিগরি শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্ত হতে বঞ্চিত হবে। STEP প্রকল্প চলাকালিন সময়ে ও শিক্ষার্থীরা এই উপবৃত্তি হতে বঞ্চিত ছিল এবং তারা অাশা করেছিল প্রকল্প শেষ হলে যখন নতুন করে পুনরায় উপবৃত্তি প্রদান করা হবে তখন টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ-এর শিক্ষার্থীদের অন্তর্ভূক্ত করা হবে। কিন্ত তাদের সেই জমানো অাশায় বালির ছিট পড়েছে। আশায় গড়া স্বপ্ন ভঙ্গুর যে কতটা কষ্টের, তা ভাঙ্গন জন-ই জানে। অতএব, এই পরিস্থিতিতে টি.এস.সি পরিবার সকলের জোর দাবি এই যে, টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজকে যারা তুচ্ছ /অন্য চোখে দেখে তাদের অসৎ উদ্দেশ্য বানচাল করে সকল সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের নাম উপবৃত্তির তালিকায় অন্তর্ভূ্ক্ত করার জন্য আপনার আন্তরিক হস্তক্ষেপ কামনা করছি।”
সম্পাদক : মোঃ আলাউদ্দিন (০১৭১৮-৬০৪১৫৮), প্রকাশক ও সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) : মোঃ সেলিম মিয়া তালুকদার (০১৭০৩-৬০৪০৬০),অফিস : ০৮৩২৮৫৬১১৯ প্রকাশক কর্তৃক আরিফ অফসেট প্রিন্টিং প্রেস ওসমানী রোড নবীগঞ্জ থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত। E-mail: dailyhabiganjshomoy@gmail.com, Web: www.dailyhabiganjshomoy.com