সুমন আলী খাঁন ॥ নবীগঞ্জে পিতার কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ১৩ বছর বয়সের এক নাবালিকা কিশোরী। ধর্ষনের অভিযোগে ওই পিতাকে আটক করেছে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ। নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। সুত্রে জানা যায়, প্রায় বছর খানেক ধরেই নিজের ঔরষজান ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছেন তিনি। বিষয়টি যেন কাউকে না জানানো হয় সেজন্য তাকে ও তার মা হাসিনা বেগমকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে আসছিলেন ওই কিশোরীর পিতা সিএনজি (অটোরিক্সা) চালক মোঃ আব্দুস সালাম (৪০)। এ ঘটনায় মোঃ আব্দুস সালামের স্ত্রী বাদী হয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার দীঘলবাক ইউনিয়নের জিয়াপুর গ্রামের মোঃ আব্দুস সালাম (৪০) পেশায় একজন সিএনজি চালক। গত রবিবার হাসিনা বেগম (৩২) তার দুই মেয়ে ভিকটিম (১৩) সামিয়াকে (৭) স্বামী আব্দুস সালামের কাছে রেখে বাপের বাড়ি ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজারে চলে যান। সেই সুযোগে মধ্যরাতে মেয়েকে ধর্ষণ করেন আব্দুস সালাম। কয়েকদিন পর সালামের স্ত্রী হাসিনা বাড়ীতে এলে তার না বালিকা মেয়ের রহস্যজনক আচরণ দেখে মেয়েকে জিজ্ঞেস করলে মেয়েটি তার মাকে অকপটে সবকিছু বলে দেয়। পরে হাসিনা বেগম বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে তাকে ও তার মেয়েকে পিটিয়ে আহত করে আব্দুস সালাম। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় মা-মেয়েকে রাত ১২টার দিকে হবিগঞ্জ জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়ে সিলেটের ওসমানী নগর এলাকার একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। ছুটিতে বাড়ি আসলে প্রায়ই তার বাবা তাকে ধর্ষণ করত। কিন্তু নিজের প্রাণের ভয়ে কাউকে বলার সাহস পেতনা সে। এ ব্যাপারে হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. অপুর্ব দাশ জানান, ধর্ষণের ঘটনায় মেয়েটিকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা ভালো আছে। পরিক্ষা-নিরিক্ষা শেষে ঘটনার বিস্তারিত জানা যাবে। এদিকে সালামের স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার নবীগঞ্জ থানায় একটি ধর্ষন মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পরপরই নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আজিজুর রহমানের নির্দেশে একদল পুলিশ অভিযান চালিয়ে আব্দুস সালামকে (৪০) আটক করেন। আটকের পরে মোঃ আব্দুস সালামকে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারে প্রেরণ করে নবীগঞ্জ থানা পুলিশ।