জুয়েল চৌধুরী ॥ চুনারুঘাটে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে এক যুবতীকে দুই দিন আটক রাখার পর কথিত প্রেমিকের কাছ থেকে উদ্ধার করেছে ব্র্যাক কর্মীরা ও স্থানীয় লোকজন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই যুবতীকে গতকাল শুক্রবার সকালে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় রসালো আলোচনার ঝড় বইছে। জানা যায়, উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের জুপিয়াজুড়ি গ্রামের মারাজ মিয়ার পুত্র টমটম চালক রিপন মিয়া (২২) এর সাথে টমটমে আসা যাওয়ার সুবাদে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে হলহলিয়া গ্রামের জহুর আলীর কন্যা সাহিদা আক্তার জনি (১৮) এর সাথে। বিষয়টি জনির পরিবার মেনে নেয়নি। গত বুধবার রাতে জনি নিখোঁজ হয়। অনেক খোঁজাখুজির পরও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। অবশেষে চুনারুঘাট শহরের একটি বাসা থেকে অচেতন অবস্থায় ব্র্যাক কর্মী পারুল আক্তার ও স্থানীয় লোকজন জনিকে উদ্ধার করে। এ সময় কথিত প্রেমিক রিপন পালিয়ে যায়। অবশেষে ধর্ষণের অভিযোগ এনে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে জনিকে ভর্তি করা হয়েছে। সূত্র জানায়, প্রেমের কারণে অজানা উদ্দেশ্যে পাড়ি জমায়। এ বিষয়ে ওসি (তদন্ত) চম্পক ধাম জানান, বিষয়টি শুনেছি। তবে এখনও অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।