স্টাফ রিপোর্টার : সিলেট এমসি কলেজ হোস্টেলে গৃহবধু গণধর্ষনের ঘটনায় প্রধান আসামী সাইফুর রহমান ও আরেক আসামী অর্জুন লস্কর কে গ্রেফতার করেছে সিলেট ডিবি ও ছাতক থানা পুলিশ।
জানা যায়, (২৭ সেপ্টেম্বর) রবিবার সকালে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে মামলার প্রধান আসামী সাইফুরকে এবং হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে মামলার আরেক আসামী অর্জুন লস্কর কে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকেই জড়িতদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত ছিল এবং এখনো বাকি আসামীদের ধরতে পুলিশের অভিযান অভ্যাহত রয়েছে বলে এ প্রতিবেদককে গ্রেফতারের বিষয়টি ২টি পৃথক সুত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, এ ঘটনায় ছয় জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিনজনকে আসামি করে শনিবার সকালে নগরীর শাহপরান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী। মামলার আসামিরা হলেন- এম সাইফুর রহমান, মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক, অর্জুন লঙ্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজু রহমান। এদের মধ্যে চারজন ওই কলেজের শিক্ষার্থী। এছাড়া আরও ৩ জনকে অজ্ঞাত আসামি সহ মামলা দায়ের করা হয়। সবাই ছাত্রলীগ রাজনীতিতে সক্রিয় বলেও জানা গেছে। এদিকে গত শুক্রবার রাত ২টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত সাইফুরের কক্ষ থেকে একটি পাইপগান, চারটি রামদা, একটি ছুরি ও দুটি লোহার পাইপও উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে একটি মামলাও দাঁয়ের করেছে শাহপরান থানা পুলিশ।
জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সিলেটের টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজের গেটের সামনে থেকে ঐ তরুণীকে তুলে নিয়ে যায় কয়েকজন। ঐ তরুণী তার স্বামীর সাথে একটি গাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন।
তরুণীর স্বামী মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তার স্ত্রীকে যখন জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় তখন দুই ব্যক্তি তাকে গাড়িতে আটক করে রাখে। এর ঘণ্টাখানেক পর এমসি কলেজের ছাত্রাবাসের একটি কক্ষের সামনে থেকে নিজের স্ত্রীকে বিধ্বস্ত অবস্থায় উদ্ধার করেন স্বামী। পরে রাতেই ঐ তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এমসি কলেজের হোস্টেলের পাশের আবাসিক এলাকার এক বাসিন্দা জানান রাতে বেশ কিছুক্ষণ ছাত্রাবাসের ভেতর থেকে চিৎকার চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পাচ্ছিলেন তিনি। পরে একপর্যায়ে নারী কন্ঠের চিৎকার শুনতে পাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে স্থানীয় আরো কয়েকজনকে নিয়ে ছাত্রাবাস এলাকার ভেতরে প্রবেশ করেন। সেসময় হোস্টেলের পাশের স্টাফ কোয়ার্টার থেকে কর্মচারীরা জড়ো হলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারেন তারা।