হাসপাতালে ধর্ষিতা

জুয়েল চৌধুরী : চুনারুঘাটে প্রেমিকার বান্ধবীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে। এদিকে নির্যাতিতাকে গতকাল শুক্রবার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং প্রেমিককে হন্য হয়ে খুঁজছে পুলিশ। কিন্তু বিষয়টি ধামাচাপা দিতে একটি প্রভাবশালী মহল মরিয়া হয়ে উঠেছে। এ ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও ফেসবুকে তোলপাড় চলছে। জানা যায়, চুনারুঘাট দক্ষিণাচরণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (ডিসিপি) এর ৭ম শ্রেণী ছাত্রী তন্নির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে চুনারুঘাট সরকারি কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের ছাত্র জিসান সরকার (২২) এর। গত বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টায় তন্নির বান্ধবী নির্যাতিতা ওই ছাত্রী ‘এসাইনমেন্ট পেপার’ স্কুলে জমা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এ সময় জিসান সরকার ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে কলেজ সংলগ্ন দক্ষিণ হাতুন্ডার একটি বাড়ির নির্জন ঘরে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার পর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে এবং বিষয়টি পরিবারের লোকজনকে জানায়। পরিবারের লোকজন তাকে চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয় এবং বিষয়টি চুনারুঘাট থানা পুলিশকে অবগত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিক সত্যতা পায়। জিসান সরকার মিরাশী ইউনিয়নের উত্তর পাকুরিয়া গ্রামের আব্দুল কাইয়ুম সরকারের পুত্র। চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়নের দক্ষিণ পাকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও চুনারুঘাট বাজারের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ধর্ষিতা ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা অভিযোগ করে বলেন, ‘জিসান সরকার তার বন্ধু রাব্বির সহযোগীতায় আমার অবুঝ মেয়েকে ফুসলিয়ে নিয়ে সর্বনাশ করেছে। আমরা চুনারুঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি। আমি অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
চুনারুঘাট থানার (ওসি) মো. আলী আশরাফ জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা জয়নাল উদ্দিন বাদি হয়ে মামলা করেছেন। মামলাটি রুজু করা হয়। ভিকটিমকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জিসানকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত আছে এবং এ ঘটনায় আর কারা জড়িত তদন্ত করে বের করা হবে। ধর্ষণের বিষয়ে কোনো ছাড় নেই।