নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কইখাই গ্রামে রাতের আধারে মালিকানাধীন জায়গার উপর হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে গ্রামের দু' পক্ষের লোকদের মধ্য উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশংকা প্রকাশ করছেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ইনাতগঞ্জ ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনা স্থল পরদর্শন করেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের কইখাই গ্রামের আকবর আলী কইখাই গ্রামের নিকটে ইলিমপুর মৌজার জেএল নং ২০, দাগ নং ৬২/৫৮২ বিভিন্ন মালিকের কাছ থেকে ১ একর ১৬ শতক জায়গা ক্রয় করেন। পরে তিনি একই গ্রামের জুয়েল মিয়া ও তার ৪ ভাইর কাছে ৩১ শতক, সাজনা বেগমের কাছে ২৮ শতক, খরছু মিয়ার কাছে ১৫ শতক ও রইছ মিয়ার কাছে ৩ শতক জায়গা বিক্রি করেন। বর্তমানে আকবর আলী ৩৯ শতক জায়গার মালিক রয়েছেন। কাটাঁ তারের বেড়ায় বেষ্টনীকৃত উক্ত জায়গায় আকবর আলী ও খরছু মিয়ার একটি করে দুটি ঘর রয়েছে। নুর মোহাম্মদ নামে জনৈক ব্যক্তি আকবর আলীর ঘরে থাকতেন এবং খরছু মিয়ার ঘরও তিনি দেখভাল করতেন। কইখাই গ্রামের বাচ্চু মিয়া ও রইছ মিয়া জানান, গত প্রায় এক বছর ধরে গ্রামের তোফাজ্জল মিয়া, আব্দুল করিম, ফিরুজ মিয়া, সোনা মিয়া, ছালিক মিয়া, দুলুরগংরা উক্ত জায়গা দখলে নেয়ার পায়তারা করে আসছে। এর জের ধরে গত শনিবার অনুমানিক রাত ২ টার সময় ওই জায়গার হামলা চালায়। এ সময় বাড়িতে অবস্থানরত নুর মোহাম্মদ পরিবার নিয়ে পালিয়ে যান। হামলাকারীরা দুটি ঘর,আসবাবপত্র, বৈদ্যুতিক একটি মিটার ভাংচু করে বেস্টনী দেয়া কাটাতারসহ সব কিছু পিকআপ ভ্যানে করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে। কইখাই গ্রামের সায়েস্তা মিয়া জানান, এই জায়গা মালিকানাধীন। তোফাজ্জলগংদের সাথে বিরোধিতার কারনে ওই জায়গায় মাননীয় আদালত কর্তৃক ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। ১৪৪ ধারা জারি থাকার পরও হামলার ঘটনাটি দু:খজনক। অপরপক্ষ তোফাজ্জল মিয়ার বক্তব্য জানতে তার মোবাইল ফোনে কল দেয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ইনাতগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামসুদ্দিন খাঁন জানান,খবর পয়ে সকালে ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেছি। এখনো মামলা হয়নি। মামলা দেয়া হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।