নূরুজ্জামান ফারুকী ॥ সাধারণত সড়কে দূর্ঘটনা কমাতে সড়কে গুলোতে গতিরোধক দেয়া হয়।এ ক্ষেএে কোন রকম নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে পরিকল্পিতভাবে গতিরোধক তৈরী করা হয়েছে নবীগঞ্জ হবিগঞ্জ সড়কে। এতে যাতায়াতকারী যাএীদের দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এরই মধ্যে ব্যক্তি উদ্যোগে যএতএ স্হাপন করা হয়েছে অসংখ্য গতিরোধক যার কারণে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই হচ্ছে বেশী।গতিরোধক গুলোতে নেই কোন প্রতীক ও লেখা নেই কোন সর্তকবাণী। এমন কি রং ও দেওয়া হয়নি গতিরোধক গুলোতে।কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে প্রায় অনেকদিন হয়।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,নবীগঞ্জ থেকে হবিগঞ্জ খোয়াই নদী পযর্ন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার রাস্তায় ৩৬টি গতিরোধক রয়েছে। শুধু মাএ আউশকান্দি বিশ্বরোড থেকে নবীগঞ্জ পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার রাস্তায় অনেকটি গতিরোধক রয়েছে। একেক জায়গায় দেয়া হয়েছে তিনটি করে গতিরোধক। কিছু কিছু গতিরোধক এতটাই উঁচু যে গাড়ী চালানোর সময় ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়।এ নিয়ে চালকদের সাথে প্রায়ই যাএীদের কথা কাটাকাটি ও ঝগড়াসৃষ্টি হচ্ছে। এসব রাস্তায় যাতায়াতকারী রোগী ও শিশুরা ঝাঁকুনিতে প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। সড়কের পাশে কেউ নতুন বাড়ী নির্মাণ করলে সেখানে ও দেয়া হয় গতিরোধক। আর হাট- বাজার দোকান থেকে শুরু করে চা দোকানের সামনে অবাধে গতিরোধক নির্মাণ করায় প্রায়ই ঘটছে দূর্ঘটনা।অনেক সময় বিভিন্ন ভাবে পাশের সড়কের উপর ইট ও মাটি দিয়ে অস্হায়ীভাবে গতিরোধক নির্মাণ করে গাড়ীর পথরোধ করা চেষ্টা করছে অসচেতন মহল।মনির হোসেন নামে একজন মোটরসাইকেল চালক জানান,উঁচু গতিরোধক গুলোতে গাড়ীর গতি কমিয়ে উঠার চেষ্টা করলে ও গাড়ী গতিরোধকের উপর উঠতে চায় না। তাই বাধ্য হয়ে জোরে গাড়ী চালিয়ে উঠতে হয়।মাঝে মধ্যে ওই গতিরোধকগুলোতে উঠতে গিয়ে দূর্ঘটনার শিকার মোটরসাইকেল চালকরা।স্হায়ীয়রা জানান,অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত এই গতিরোধক গুলোর কারনে সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল চালকরা ও সমস্যায় পড়ছেন। প্রতিদিন ছোটখাটো দূর্ঘটনা ও ঘটছে।সড়ক ও জনপদ ( সওজ) নবীগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী সৈয়দুর রহমানের সাথে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন নাম্বারটি ব্যস্ত থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।এলাকাবাসীর দাবি, তাড়াতাড়ি গতিরোধক গুলোতে রং দেওয়ার ব্যবস্হা করা হোক।জনস্বার্থে যেখানে গতিরোধক প্রয়োজন শুধু সেখানেই গতিরোধক থাকবে।বাকী সব গতিরোধক গুলো অপসারণ করা হোক এটা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি।