সংবাদদাতা ॥ ১৯৯৮ সালে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠা করা হলেও দীর্ঘ দুই দশকেও ডাম্পিং স্টেশন পায়নি পৌরবাসী। এতে করে নানাবিধ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পৌরবাসীকে। এছাড়া ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে দূষিত বর্জ্য। ফলে নস্ট হচ্ছে পৌর এলাকার পরিবেশ। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ সড়ক, খোয়াই নদীর বেড়িবাঁধ ও মহাসড়কের পাশে খোলা পরিবেশে ফেলা হচ্ছে পৌরসভার সব বর্জ্য। এতে করে একদিকে যেমন দূষিত হচ্ছে পরিবেশ তেমনি দুর্গন্ধের কারণে ছড়াচ্ছে নানাবিধ রোগবালাই। এমন বাস্তবতায় সাধারণ মানুষদেরকে নাক টিপে ধরে প্রতিদিন চলাফেরা করতে হয়। অন্যদিকে এই দুষিত বর্জের কারণে মহাসড়কের গাছগুলো ও শুকিয়ে মারা যাচ্ছে। এই সুযোগে রাতের আধারে কে বা কারা গাছগুলো কেটে নেয়ার অভিযোগ ও পাওয়া গেছে। তাছাড়া ডাম্পিং স্টেশন না থাকায় নিরবেই বিনষ্ট হচ্ছে পৌরসভার পরিবেশ। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) হবিগঞ্জ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল সোহেল বলেন, স্বাস্থ্যকর বাসযোগ্য নগরায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা। প্রায় দুই দশকের পুরনো শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নানান কারণে গুরুত্বপূর্ণ। এই পৌরসভায় সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকায় গৃহস্থালিসহ নানান ধরণের বর্জ্য পুকুর, ডোবাসহ যত্রতত্র ফেলা হচ্ছে। এতে করে একদিকে জলাশয়গুলো ভরাট হচ্ছে, অন্যদিকে বিভিন্ন রোগবালাই বাসা বাঁধছে মানবদেহে। তিনি বলেন- পরিকল্পিত সুন্দর শহরে বসবাসের জন্য জনগণ তাদের মূল্যবান ভোটের মাধ্যমে পৌরসভার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত করেন। জনপ্রতিনিধিরাও সেই প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাই জনপ্রতিনিধিদের উচিত পরিবেশ-প্রতিবেশ এর দিকে নজর রেখে এবংপ্রতিশ্রুতি অনুযায়ী পৌরসভায় বসবাসকারীদের জন্য সুন্দর একটি শহর গড়ে তোলা। পরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা একটি সুন্দর জনপদ হিসেবে গড়ে উঠতে পারে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সজিব আহমেদ জানান, ‘সড়ক বিভাগের জায়গাতে পৌরসভার বর্জ্য ফেলার কোন সুযোগ নেই। আমরা এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।’ এ ব্যাপারে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি জানান, আগামী কয়েক মাসের ভিতরেই শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ডাম্পিং স্টেশন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। আশা করছি খুব শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে।