স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কালবৈশাখী ঝড়ে ১৫/২০টি গ্রামে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার পর দুই দফায় ও গত বুধবার রাতে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণি ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের কাঁচা ঘর-বাড়ি। কারো আধা-কাঁচা ঘরের টিন উড়ে যায় ও গাছ পালা উপড়ে পড়ে এবং বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রয়েছে। কাল বৈশাখী ঝড় হওয়ার পর থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নবীগঞ্জ পৌর এলাকাসহ কয়েকটি এলাকায় বিদুৎ সংযোগ পৌছে। পুরোদুই দিন বিদ্যুৎ না থাকায় উপজেলাবাসী চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। বেসরকারী ভাবে প্রায় কয়েক কোটি টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে। উড়ে গেছে প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ি, গাছপালা, বিদ্যুতের খুঁটি ও ফসলি জমির আধা পাকা ধান। ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির ব্যাপারে নবীগঞ্জ পল্লী বিদুৎ অফিসের
ডিজিএম আলীবর্দী খাঁন সুজন এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাতের ঝড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটছে। নিরবিছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা কাজ করছেন এবং নবীগঞ্জ পৌরসভা সহ কয়েকটি এলাকা বিদ্যুৎ পৌছে দিয়েছি। গত বুধবার রাতে ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী সময়ে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহি উদ্দিন ঘূর্ণিঝড়ে বিপযস্ত কিছু এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মহিউদ্দিন বলেন, ঝড়ে উপজেলার অনেক পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। আমি রাতব্যাপী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেছি এবং ক্ষতির পরিমান ব্যাপক হলেও এখনও পরিমান নির্ধারণ করা হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তায় তালিকা তৈরী করে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।